একইসঙ্গে তৃণমূলের চন্দ্রিম ভট্টাচার্য বলেন, ‘বেশি দফায় ভোট হলে ভোটদাতার সংখ্যা কমে যায় এটা দেখেছি। ১-২ দফায় ভোট হলে ভোটদাতার সংখ্যা বেশি থাকে। বেশি দফায় ভোট হলে, যে দলের আর্থিক ক্ষমতা বেশি সেই দল সুবিধা পায়। অনেক বড় রাজ্যে এক দফায় ভোট হচ্ছে। ৭ দফা ভোটের প্রয়োজন ছিল না। কেন ৭ দফায় তার ব্যাখ্যা নেই।’
এদিকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ বিহারেও ৭ দফায় নির্বাচন হচ্ছে, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও। বিহার – উত্তরপ্রদেশ তাদের নির্দিষ্ট ভোট সংস্কৃতির থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছ। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সেখান থেকে বেরতে পারল না। তৃণমূল প্রতিবারের মতো এবারেও পাহাড় থেকে সাগরে একই হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সারা দেশের মানুষের কাছে পশ্চিমবঙ্গের ফেসলস হচ্ছে।’
আর সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন, তখন বরাবরই চাইতেন ৫ দফা – ৮ দফাতে ভোট হোক। আর পঞ্চায়েত সহ যে কোনও নির্বাচনে মানুষ বুঝেছে ক’দফায় ভোট হচ্ছে তাতে কোনও লাভের লাভ হচ্ছে না, কত পুলিশ আসল তাতে কিছু নির্ভর করছে না। নির্বাচন কমিশনের কাজ হচ্ছে, প্রত্যেকে যাতে নিজের মত অনুযায়ী ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করা। ওরা মনে করেছে ৭ দফায় ভোট করবে, করুক। কিন্তু নিশ্চিত করতে হবে, মানুষ যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারে।’
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা সৌম্য আইচ রায়ের গলাতেও কার্যত একইরকম কথা শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘ক’টা দফায় হল নির্বাচন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিন্তু নির্বাচনের যেন দফারফা না হয়। নির্বাচন কমিশনকে দেখতে হবে, প্রতিটা মানুষ যেন তাঁর ভোট নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে ও শান্তিতে দিতে পারে। তার জন্য দফা হল, পেট্রোলিং হল, সেটা তাদের বিষয়। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের আগে ও নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ইতিহাস রয়েছে। তাই একবিন্দু রক্তও যাতে না ঝরে, মানুষ যেন খুন না হয়, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।’