২০২২ সালে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডের মৃত্যু হয়। ভারতের ১৯৫১ সালের জন প্রতিনিধিত্ব আইন বলছে, কোনও কেন্দ্রে বিধায়কের ইস্তফা বা মৃত্যুর কারণে যদি সেখানে শূন্যতা তৈরি হয় সেক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হবে। কিন্তু, সাধন পাণ্ডের কেন্দ্রের ক্ষেত্রে তা হয়নি।
কারণটা লুকিয়ে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময়। সংশ্লিষ্ট ভোটে তৃণমূলের সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন কল্যাণ চৌবে। এই ভোটে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। দাখিল করেছিলেন ‘ইলেকশন পিটিশন’। আপাতত সেই মামলা বিচারাধীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে। বর্তমানে এই মামলায় কল্যাণ চৌবের সাক্ষ্য প্রমাণ চলছে। যদিও বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই মামলা চলতি মাসে শেষ করতে চান।
মানিকতলা কেন্দ্র নিয়ে এই মামলার নিষ্পত্তি হলেও লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে আদৌ এই কেন্দ্রের জন্য আলাদা করে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে মানিকতলা কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন বিধায়কশূন্য হওয়ায় এলাকার মানুষকে একাধিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেখানে উপনির্বাচনের আর্জি জানিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলাও কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন আদালতে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। যেখানে বলা হয় নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনওভাবেই উপনির্বাচন করা সম্ভব নয়। এরপরেই সেই জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ হয়েছে।
সেক্ষেত্রে মানিকতলা কেন্দ্রে কবে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। উল্লেখ্য, শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, বাংলায় সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। পাশাপাশি বঙ্গের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের তারিখও ঘোষণা করেছেন তিনি।