ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কিঙ্করচন্দ্র পাত্র। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক’। এর আগেও ওই ক্লার্ক এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলেও জানান তিনি। প্রধান শিক্ষক আরও জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জানানোর পর ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, তাই নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
এদিকে এই ঘটনার কথা জানতে পেরে স্কুলে যান স্থানীয় দাসপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু চক্রবর্তী। তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেই ওই ক্লার্ককে মদত দেওয়ার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ স্কুলের পড়ুয়ারা থেকে শুরু করে অভিভাভবক – অভিভাবিকারা। এমনকী স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের চোখেমুখেও বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। এর ফলে পড়ুয়াদের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন অভিভাবক – অভিভাবিকারা।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে আসার অভিযোগ ওঠে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। যদিও সেই ঘটনাটি ঘটেছিল বিহারের খাগারিয়া জেলার একটি সরকারি স্কুলে। অভিযোগ ওঠে, মত্ত অবস্থায় কোনও রকমে টলতে টলতে, মুখে বিশ্রী মদের গন্ধ নিয়েই পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে যান দুই শিক্ষক। ভেবেছিলেন কেউ টের পাবে না। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যাওয়ার পর তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আর সেই ঘটনার পর এবার প্রকাশ্যে এলে ক্লার্কের কীর্তি।