শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ওঁকে আমি জিজ্ঞেস করবো আপনার দলে যাদেরকে নিয়েছেন আপনার প্রার্থী তালিকায় বিজেপি থেকে লোককে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী করতে হয়েছে, কৃষ্ণ কল্যানী, বিশ্বজিৎ দাস, মুকুটমণি অধিকারী কোন দলের এমএলএ? কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই। আপনার এই ঠকবাজি বিদ্যা সবাই জেনে গিয়েছে।’
লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয় শনিবার। এ রাজ্যে মোট সাত দফায় ভোট করানোর কথা ঘোষণা করা হয়। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘দুটো রাজ্য বড় বলে করেছে। আর পশ্চিমবঙ্গ সন্ত্রাসকবলিত বলে সাত দফায় ভোট করেছে বলে আমার মনে হয়।
শনিবার হুগলির ভদ্রেশ্বরে জনসভা করেন রাজ্যের বিরোধীদলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই জনসভায় বেশ কয়েকজন বিজেপিতে যোগদান করেন। শুভেন্দু আরও অভিযোগ করেন, তৃণমূল ইতিমধ্যে প্রত্যেকটা বিধানসভায় ৩৫ লাখ করে টাকা পৌঁছে দিয়েছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগে ২৯৪টা বিধানসভার ৩৫ লক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। একটা লোকসভায় সাতটা বিধানসভা আছে। প্রায় আড়াই কোটি টাকা প্রত্যেক লোকসভায় ঢুকিয়েছে। তাঁর দাবি, এর বাইরেও ৯৫ লাখ করে টাকা সিলিং হয়েছে অ্যাকাউন্টে ঢোকাবে। সাড়ে তিন কোটি টাকা অলরেডি স্টোর হয়ে গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। পরে জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে যেখানে পারেন যত টাকা দেবে নিয়ে নেবেন চোখ মারবেন স্লিপ নেবেন, ভেতরে গিয়ে পদ্মে মারবেন।’