সোমবার বনগাঁয় আয়োজিত একটি সভায় বিশ্বজিৎ বলেন, ‘ইছামতী নদী সংস্কারের জন্য শান্তনু ঠাকুর ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছিলেন এবং সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য একটি ড্রেজিং মেশিনও পেয়েছিলেন। ১০ দিনের মধ্যেই সেই কাজ শেষ হয়ে যায় এবং তাতে ৫০ কোটি টাকাও খরচ হয়নি।’ বাকি টাকা শান্তনু ঠাকুর নিজেই আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল প্রার্থী। তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি বাগদা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের প্রকল্পটি অনুমোদন করেছিলেন। কিন্তু, শান্তনু ঠাকুর সেই প্রকল্প রূপায়নেও ব্যর্থ হয়েছেন। যদি তিনি ও তাঁর দল, মতুয়া সম্প্রদায়কে এতই ভালোবাসেন, তাহলে মতুয়াদের জন্য একটি স্কুল পর্যন্ত নির্মাণ করলেন না কেন? আর এখন ওঁরা নির্মমভাবে সিএএ কার্যকর করছেন।’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিশ্বজিৎ-এর দাবি, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কেবলমাত্র জাতি, ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে মানুষে-মানুষে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে। তাঁরা ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনার আওতায় অসংখ্য মানুষকে তাঁদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত রেখেছে।’ অথচ, প্রবল আর্থিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০০ দিনের কাজের বঞ্চিত শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি মেটানোর ব্যবস্থা করেছেন এবং তিনি বঞ্চিত দরিদ্র উপভোক্তাদের তাঁদের প্রাপ্য বাড়িও তৈরি করে দেবেন। পাশাপাশি, তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী এবং স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতো অসংখ্য জনকল্যাণমুখী প্রকল্প রূপায়িত করেছেন বলে জানান বিশ্বজিৎ।
স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীকে সামনে পেয়ে নিজেদের অভাব-অভিযোগ জানান। জবাবে বিশ্বজিৎ তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেন, যে মুহূর্তে তিনি এলাকার সাংসদ নির্বাচিত হবেন, সমস্ত সমস্যা সমাধানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। স্থানীয় মতুয়া শিল্পীদের সঙ্গে ঢাক বাজান তৃণমূল প্রার্থী। বাংলার বৈচিত্রময় সংস্কৃতি উদযাপন করতে বাগদার বিধায়ক উল্লসিত জনতার সঙ্গে নাচের ছন্দেও পা মেলান।