কিন্তু সেই এক কোটি টাকা ঘুম কেড়েছে রাবনের। ব্যক্তিগত ‘নিরাপত্তা’র স্বার্থে আপাতত আস্তানা গেড়েছেন খাতড়া থানায়। নিজমুখেই সেকথা জানালেন ‘কোটি পতি’ রাবন বাউরি। একই সঙ্গে তিনি আরও জানান, লটারিতে পাওয়া টাকা ছেলে-মেয়ের পড়াশুনার খরচ আর মাথা গোঁজার মতো একখানি বাড়ি করাই এখন তার লক্ষ্য। এর বাইরে কি করবেন এখনো ভেবে উঠতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন।
লটারি বিক্রেতা শিবু বাউরি বলেন, অনেক দিন ধরেই লটারীর টিকিট বিক্রির ব্যবসার সাথে যুক্ত রয়েছি, এই প্রথম আমার বিক্রি করা টিকিটে এক কোটির প্রাইজ মানি উঠল বলে তিনি জানান। এক কোটি টাকা লটারি জেতার বেজায় খুশি রাবন বাউরির পরিবার। হাড় ভাঙা খাটুনির পর যেখানে দু মুঠো অন্ন জুটত, সেই পরিবারেই মা লক্ষ্মীর কৃপায় এল কোটি টাকা, আনন্দে আত্মহারা বাউরি পরিবারের সদস্যরা।
লটারি কেটে ভাগ্য ফেরার ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিক শ্রমজীবী ঘরের মানুষ লটারিতে প্রাইজ জিতে নিজের ভাগ্য বদল ঘটতে দেখেছেন। কয়েক মাস আগেই
দক্ষিণ দিনাজপুরের এক মিস্ত্রি ভাগ্য ফেরে লটারি পুরস্কার জিতে। বংশীহারী থানার ডিটলহাট এলাকায় জাহাঙ্গির আলম নামে পেশায় এক রাজমিস্ত্রি লটারিতে কোটি টাকা পুরস্কার পান। নিজের পরিবারকে নিয়ে অস্বচ্ছলতার মধ্যেই দিন কাটত তাঁর। মাঝেমধ্যেই লটারি টিকিট কাটতেন তিনি। এরকমই একদিন লটারি কেটে কোটি টাকা জিতে নেন তিনি।