ওপার থেকে ভেসে এল ব্যাঙ্ক লোনের লোভনীয় অফার! ব্যস্ততায় ব্যতিব্যস্ত যুবক হাসবেন না কাঁদবেন বুঝে উঠতে পারলেন না। শুধু নবীন নয়, যখন তখন এই ধরনের ফোনে বিরক্ত হন অনেকেই। আম আদমির পাশাপাশি ‘ডু ডিসটার্ব’-এ এবার নাজেহাল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি!এবার ব্যাঙ্ক লোন আর ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য লাগাতার ফোনে নাজেহাল স্বয়ং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার! তিতিবিরক্ত হয়ে সরকারি কৌঁসুলিকে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানি চলছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে।
দয়া করে একটা কিছু করুন। এইভাবে ব্যাঙ্ক লোন ও ক্রেডিট কার্ডের নামে হেনস্থার শিকার হচ্ছি।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার
অন্য একটি মামলার শুনানির মধ্যে রাজ্যের কৌঁসুলিকে বিচারপতি মন্থর অভিযোগ, প্রতিদিন সকাল থেকে সাত থেকে আটবার করে তিনি দুটি ব্যাঙ্কের নম্বর করে ফোন পাচ্ছেন। বিষয়টি রীতিমতো ‘হেনস্থা’-র পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানান বিচারপতি। রাজাশেখর মান্থার এদিন বলেন, ‘দয়া করে একটা কিছু করুন। এইভাবে ব্যাঙ্ক লোন ও ক্রেডিট কার্ডের নামে হেনস্থার শিকার হচ্ছি। এমনকী, নম্বর ব্লক করলে অন্য কোনও নম্বর থেকে সেই একই ভাবে ফোন আসছে। আবার কোনও কোনও নম্বর চিহ্নিত করাও যাচ্ছে না।’
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার জানান, এই ভাবে গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে ফোনের জ্বালায় নাজেহাল হচ্ছেন তিনি। সরকারি কৌঁসুলির কাছে তাঁর কাতর আবেদন, ‘কিছু একটা করুন’।
টেক যুগে সাধারণ মানুষের কাছে যেমন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকছে, তেমনই প্রযুক্তি ও মানুষের যৌথ ঠ্যালায় কিছু ক্ষেত্রে ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা হয় সাধারণ মানুষের। গুগলে গিয়ে কেউ ক্রেডিট কার্ড এবং লোন লিখে সার্চ করলেই আর পায় কে! দফায় দফায় আসতে থাকে ফোন। অনেকেই বিরক্ত হয়ে নম্বর ব্লক করে দিয়েও অপর একটি নম্বর কোনওভাবে গজিয়ে ওঠে ‘রক্তবীজ’-এর মতো।
বিষয়টি নিয়ে এর আগে বিরক্তির কথা শোনা গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু, এবার স্বয়ং বিচারপতিও বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন। ব্যাঙ্ক লোন এবং ক্রেডিট কার্ডের জন্য দুটি ব্যাঙ্ক থেকে লাগাতার তাঁকে ফোন করা হচ্ছে এবং সেই ফোনে রীতিমতো বিরক্ত তিনি। অনেক সময় এই অভিযোগ আরও বিভিন্ন মহল থেকে উঠে আসে। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে আগে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন।