এই বিষয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো বলেন, ‘বাড়ি ভাঙার অনুমতি ছিল কি না সেটা দেখতে হবে। অনুমতি দেওয়া থাকলেও, সমস্ত কিছু নিরাপত্তা ব্যবস্থা করে তবেই ভাঙার কথা। যদি তা না হয়ে থাকে, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ উপযুক্ত অনুমতি নিয়ে বাড়িটি ভাঙা হচ্ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এদিকে এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক সুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘পুরসভা কোনও উদ্যোগ নেই। চারিদিকে বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। ২ জন মিস্ত্রি আহত হয়েছেন। যদি পুরসভা নজর না দেয়, তাহলে যে কোনওদিন বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। ভাগ্য ভালো যে দু’জন আহত হয়েছেন, তাঁরা বেচে গিয়েছেন। সাধারণ মানুষ খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এভাবে চলতে পারে না।’
প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মান একটি বহুতল। দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত বেশ কয়েকজন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। বিল্ডিংটি বেআইনিভাবে তৈরি হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ঘটনায় পুলিশকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে বেআইনি ওই বিল্ডিংয়ের প্রোমোটারকে। বেআইনি বিল্ডিংয়ের বিষয়ে বলতে গিয়ে পূর্বতন বাম সরকারের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন মেয়র। যদিও পালটা রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছে সিপিএমও। আর সেই ঘটনার মাঝেই এবার হুগলিতে ভেঙে পড়ল বাড়ি।
