শহর কলকাতার বুকে একের পর এক প্রকল্পে কাজ করছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ৩টি নয়া সেকশনের উদ্বোধনও হয়েছে। এবার নজরে এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদা সেকশন। সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সম্পূর্ণ রুটে কবে যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে, তা জানতে চাইছেন যাত্রীরা। এই বিষয়ে এবার বড় ইঙ্গিত দিল কলকাতা মেট্রোরেল।একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এই বিষয়ে কলকাতা মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার পি উদয়কুমার রেড্ডি জানিয়েছেন, বউবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত টানেল মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই বিষয়ে মেট্রো রেলের মুখ্যজনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘আমাদের জেনারেল ম্যানেজার সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন যে ওটা আমরা চেষ্টা করছি অক্টোবর – নভেম্বরে করার।’ সেক্ষেত্রে পুজোর আগে বা পরে ওই সেকশন চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলেই ইঙ্গিত দিলেন মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক।
প্রসঙ্গত, মাটির নীচে রয়েছে দু’টি টানেল। তার মধ্যে পূর্বমুখী অর্থাৎ সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন সেই টানেল দিয়েই সল্টলেক ডিপো থেকে ফাঁকা রেক হাওড়া ময়দান স্টেশনে যাতায়াত করছে। কিন্তু পশ্চিমমুখী অর্থাৎ হাওড়া ময়দানগামী টানেলে বউবাজারের কাছে বড়সড় সমস্যা দেখা দেয়। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে টানেল বোরিং মেশিনের (TBM) মাধ্যমে মাটি কাটার সময় ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নির্মীয়মাণ ওই সুড়ঙ্গের প্রায় ৪০ মিটার অংশ। তারপর ২০২২ সালের মে এবং অক্টোবর মাসে পরপর ২ দফায় সেখানে জল ঢুকে মাটির নীচের কংক্রিটের পথ ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রসঙ্গত, মাটির নীচে রয়েছে দু’টি টানেল। তার মধ্যে পূর্বমুখী অর্থাৎ সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন সেই টানেল দিয়েই সল্টলেক ডিপো থেকে ফাঁকা রেক হাওড়া ময়দান স্টেশনে যাতায়াত করছে। কিন্তু পশ্চিমমুখী অর্থাৎ হাওড়া ময়দানগামী টানেলে বউবাজারের কাছে বড়সড় সমস্যা দেখা দেয়। ২০১৯ সালের অগাস্ট মাসে টানেল বোরিং মেশিনের (TBM) মাধ্যমে মাটি কাটার সময় ধস নেমে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নির্মীয়মাণ ওই সুড়ঙ্গের প্রায় ৪০ মিটার অংশ। তারপর ২০২২ সালের মে এবং অক্টোবর মাসে পরপর ২ দফায় সেখানে জল ঢুকে মাটির নীচের কংক্রিটের পথ ফের ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মেট্রো সূত্রে খবর, টানেলের ক্ষতিগ্রস্ত ২৮ মিটার অংশে স্টিলের প্লেট বসানোর ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও বাকি রয়েছেন ১২ মিটার অংশের কাজ। এক্ষেত্রে অবশ্যে গুণমাণ বা নিরাপত্তার সঙ্গে কোনওরকম আপোস করছে না মেট্রো কর্তৃপক্ষ। ক্ষতিগ্রস্ত ওই টানেলকে যাতে আগামী বহু বছর ব্যবহার করা যায়, সেই ভাবেই গড়ে তোলা হচ্ছে। এই সেকশন চালু হয়ে গেলে, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সম্পূর্ণ করিডোর ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে যাতায়াত হয়ে উঠবে আরও সহজ। সময়ও লাগবে কম। এখন দেখার বাস্তবেই আগামী পুজোর আগে পুজোর আগে এই সেকশন চালু হয় কি না।