তাঁর অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভোটে জয়লাভ করতে মরিয়া বিরোধীরা। এদিকে অনুব্রত মণ্ডল না থাকলেও তাঁর উপরেই ভরসা রেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বৈঠকে ‘কেষ্ট’-র উপর আস্থার কথা কোর কমিটির কাছে কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন তিনি। অনুব্রতর দেখানো পথেই জেলায় দল চালানোর পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি। দলনেত্রীর এই নির্দেশের পরই দেখা গিয়েছিল জেলাজুড়ে তৃণমূলের ব্যানারে ফিরতে শুরু করেছে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি ।
এদিকে ইতিমধ্যেই ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এরপরেই সিউড়িতে তৃণমূল পার্টি অফিস ও সংলগ্ন এলাকায় শতাব্দী রায়ের হয়ে ভোট চেয়ে লাগানো হয়েছে ব্যানার। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি শতাব্দী রায় এবং বিকাশ রায়চৌধুরীর ছবি থাকলেও নেই অনুব্রত মণ্ডল।
আর তা নিয়ে বিরোধীরা টিপ্পনি কাটতে শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘বীরভূমে এমন কোনও ব্লক নেই যেখানে অনুব্রত মণ্ডলের কোনও ছবি নেই। তিনি সমস্ত কর্মীর মনে রয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডলের দেখানো পথেই কর্মীরা আগামী লোকসভা ভোটের জন্য তৈরি হয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল যেখানেই থাকুন, তাঁর জন্যই কর্মীরা এত উৎসাহিত।’
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের সাংগঠনিক ক্ষমতার প্রশংসা শোনা গেল বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি দীপক দাসের কণ্ঠেও। অবশ্য এই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি এবং তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন দীপক দাস। আক্রমণের সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, ‘একটা জিনিস স্বীকার করতেই হবে তিনি যা ছিলেন…কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডল খারাপ সংগঠক ছিলেন না। আর অনুব্রত মণ্ডল ছাড়া বাকি যাঁরা রয়েছেন তাঁদের কোনও দাম নেই। এতদিন ওরা সবাই জিতত অনুব্রতকে ভাঙিয়ে বা তাঁর ছায়ায়। অনুব্রতকে বাদ দিয়ে একবার ভোট করে দেখুক ওদের দম কত!’