দার্জিলিং, রায়গঞ্জ, মালদা উত্তর, মালদা দক্ষিণ, বহরমপুর, জঙ্গিপুর ও বীরভূম আসন কংগ্রেসকে ছেড়ে দিচ্ছে বামেরা। বসিরহাট আসনটি চাইছে কংগ্রেস। আবার নওশাদ সিদ্দিকির আইএসএফ-এরও নজর এই কেন্দ্রে। সিপিএমের সঙ্গে আইএসএফ-এর রফা সূত্র বেরোলে বসিরহাট নওশাদের দলকে ছেড়ে দেবে সিপিএম। কিন্তু এই সমঝোতা না হলে বসিরহাট কংগ্রেসকে ছাড়তে পারে বাম।
এ ছাড়া বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনেও লড়াই করতে চায় হাত শিবির। এই আসনটিও কংগ্রেসকে ছাড়তে পারে সিপিএম। মঙ্গলবার অধীরের পাঠানো যে খসড়া প্রার্থী তালিকায় কংগ্রেস হাইকমান্ড অনুমোদন দিয়েছে, তাতে দার্জিলিং কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে নাম রয়েছে বিনয় তামাংয়ের। রায়গঞ্জে আলি ইমরান রামজ (ভিক্টর), মালদা উত্তরে মুস্তাক আহমেদ, মালদা দক্ষিণে ইশা খান চৌধুরীর নাম রয়েছে বলে খবর। বহরমপুরে অধীর নিজে লড়াই করবেন। জঙ্গিপুরে মোর্তাজা হোসেন, বীরভূমে প্রাক্তন বিধায়ক মিল্টন রশিদ এবং পুরুলিয়ায় নেপাল মাহাতোর নাম রয়েছে ওই লিস্টে।
কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের সমঝোতা সূত্র বেরোলেও আইএসএফ-এর সঙ্গে প্রবল জটিলতা চলছে। নওশাদকে ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট-সহ খুব বেশি হলে তিনটি আসন ছাড়তে রাজি সিপিএম। কিন্তু আইএসএফ আরও আসন দাবি করছে। সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য বিকাশ ভট্টাচার্য নওশাদের দলের সঙ্গে কথা বলেছেন। আইএসএফ যদি নিজেদের দাবি থেকে না সরে, তা হলে আলিমুদ্দিন পাল্টা কৌশল নেবে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে নওশাদকে।
বিকাশ মঙ্গলবার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বলেন, ‘তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা বিভিন্ন শক্তিকে একজোট করতে চাইছি। যাঁরা এর বিরোধিতা করবেন, তাঁরা যে তৃণমূল-বিজেপির হাত শক্ত করতে চাইছেন, সেটা সবাই বুঝতে পারবেন।’