Kolkata Bus Service : জুনে ভোট শেষে উঠে যেতে পারে দেড় হাজার বাস – kolkata private bus owners expect around 1500 buses will disappear from city by june


এই সময়: হাওড়া থেকে জাপানি গেট অর্থাৎ ৬৩ নম্বর রুটের ক্ষয়িষ্ণু পরিস্থিতি এখন অনেকটাই গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে যাত্রীদের। কয়েক বছর আগে এই রুটে একশোর কাছাকাছি বাস চলত। বাস পেতে কয়েক মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হতো না। ইদানীং ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করাটাই যেন স্বাভাবিক ব্যাপার। কখনও কখনও অপেক্ষার সময় আধ ঘণ্টাও হয়ে যেতে পারে। বাসের সংখ্যা একশো ছুঁইছুঁই থেকে কমতে কমতে যদি এখন ২৪-এ এসে ঠেকে, তাহলে অপেক্ষার পরিমাণ তো বাড়বেই।মাস তিনেক পর এই রুটে বাসের জন্য যাত্রীদের প্রতীক্ষা আরও অনেকটাই হয়তো বাড়বে। শুধু এই রুট কেন, তালিকায় রয়েছে এসপ্ল্যানেড-দাসনগর (রুট ৭৩), হাওড়া-চুনাভাটি (রুট ৮০), এসপ্ল্যানেড-বকুলতলা (রুট ৫৯), হাওড়া-সাঁকরাইলের (রুট ৬৯) মতো আরও অনেক রুটের বহু বাসই। ২০২৪-এর জুনেই শেষ হচ্ছে ১৫ বছরের সময়সীমা। বেসরকারি গণপরিবহণে ব্যবহৃত বাসের বয়স যদি ১৫ বছরের বেশি হয়ে যায়, তাহলে সেই বাস রাজ্যের মেট্রো এলাকায় অর্থাৎ কলকাতা-হাওড়া এলাকায় পরিষেবা দিতে পারবে না। এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছিল ২০০৯-এর জুনে।

ঘোষণার দেড় দশক পর বেসরকারি বাসের মালিকরা হিসেব কষে দেখছেন, জুন পড়লে রাজ্যের এই এলাকায় পরিষেবা প্রদানকারী প্রায় দেড় হাজার বাস রাতারাতি রাজপথ থেকে উধাও হয়ে যাবে। বেসরকারি বাসমালিকদের হিসেব, মেট্রো এলাকায় প্রতিদিন প্রায় সাড়ে চার হাজারের কাছাকাছি বাস রাস্তায় নামে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ বাসই বয়সে ‘প্রবীণ’। সরকারি নির্দেশে আগামী জুনেই তাদের ‘অবসর’ নেওয়ার সময়। রাতারাতি যদি দেড় হাজারের কাছাকাছি বাস বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে বিস্তীর্ণ এলাকার যাত্রীদের যে কী দুরবস্থায় পড়তে হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। হাতে যেহেতু মাত্র তিনটে মাস পড়ে রয়েছে, বেসরকারি বাসমালিকদেরও দ্রুত নতুন বাস কেনা নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তাঁরা এই বিষয়ে আদৌ কি কিছু ভাবছেন?

Esplanade Bus Terminus: ভূগর্ভস্থ পার্কিং, ফেরি এবং মেট্রোর যোগ নিশ্চিত করার নির্দেশ কোর্টের

বেসরকারি বাসমালিকদের সংগঠন অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘আগামী দিনে বাসের জ্বালানি খনিজ তেলই থাকবে নাকি সিএনজি-চালিত বাস শহরে চলবে এখনও সেই বিষয়টা নিয়েই আমরা নিশ্চিত নই। কাজেই অনেকেই নতুন বাস কেনার আগে দোনামনা করছেন। এত টাকা কে ইনভেস্ট করবেন নিশ্চিত না হয়ে!’ সুতরাং, সামনের তিন মাসে যে বাতিল হতে বসা বাসের পরিবর্তে নতুন বাস পাওয়া যাবে এমন সম্ভাবনাই নেই। সুতরাং ভোটের মুখে বহু বাস নির্বাচনী ডিউটিতে চলে যাওয়ার পর তাদের কতজন যে ভোটপর্ব কাটিয়ে আবার রাস্তায় ফিরবে, সে নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *