সূত্রের খবর, এদিন ২টি রিয়েল এস্টেট সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তা ও আধিকারিকদের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযানের জন্য পৌঁছে যান আয়কর বিভাগের কর্তারা। ওই দুটি সংস্থার বিরুদ্ধে করফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই তল্লাশির সঙ্গে স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়িতে হানা দেওয়ার কী যোগ, তা এখনও জানা যায়নি। স্বরূপের বাড়ি থেকে বিভিন্ন নথি সংগ্রহের চেষ্টা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে লোকসভা নির্বাচনে আগে এই তল্লাশিকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
এদিকে এদিন স্বরূপ বিশ্বাসের বাড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে চোখে পড়ার মতো। গোটা বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। ওয়াকিবহালমহলের একাংশ মনে করছে, সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে যে কোনও তল্লাশিতে আরও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি।
প্রসঙ্গত, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন সময়ে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহারে অভিযোগ তুলেছে। বিজেপি প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির জন্যই কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। এমনকী দলের বিভিন্ন নেতাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে রেড করানোর ভয় দেখান হচ্ছে বলেও অভিযোগ রাজ্যের শাসকদলের। পালটা বিজেপি অবশ্য সবসময়ই তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তদন্তকারী সংস্থাগুলি নিজেদের মতো করে তাদের তদন্ত প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। আর এই তরজার মাঝেই এবার ফের এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তল্লাশি।