এরপরেই জলঘোলা হতে শুরু করেছিলেন জেলা রাজনীতির অন্দরে। কিন্তু, এবার প্রকাশ্যে এসে সেই সমস্ত জল্পনায় জল ঢাললেন মৌসম। বুধবার তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমি উত্তর মালদা কেন্দ্রে দু’বার সাংসদ ছিলাম। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীও ছিলাম৷ উনিশের নির্বাচনে আমি বিজেপির কাছে হেরে যাই৷ সেইবার একই পরিবার থেকে দু’জন দুই দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় আমাদের ভোট ভাগাভাগি হয়েছিল। আর তার লাভ তুলেছিল বিজেপি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার আমার ধারণা ছিল, টিকিট পেলে আমি জিতবই। বিজেপিকে হারাতে একটা প্রত্যাশাও তৈরি হয়েছিল। আমাদের নেত্রী এবং দলের সিদ্ধান্ত, এই আসনে প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হবেন। দলের একজন সৈনিক হিসেবে সেই সিদ্ধান্তকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। দল যা ঠিক মনে করেছে, তা মেনে নিয়েছি।’
নিজের মালদার বাইরে থাকার কারণও ব্যাখ্যা করেন মৌসম। তিনি বলেন, ‘অসুস্থ থাকায় আমি কিছুদিন কলকাতায় ছিলাম। ব্যক্তিগত কাজে দিল্লিতেও যেতে হয়েছিল। প্রার্থীর হয়ে অবশ্যই প্রচারে নামব। আশা করি, এবার জেলার দুটি আসনেই তৃণমূল জিতবে। প্রচার নিয়ে আলোচনা করব। এরপরেই ময়দানে নামব।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে তিনি বিধায়ক হন। ২০০৯ ও ২০১৪ সালে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে উত্তর মালদা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন মৌসম। ২০১৯ সালে তিনি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হন। কিন্তু, বিজেপির কাছে তিনি পরাজিত হন। আপাতত তিনি রাজ্যসভার সাংসদ।