তা নিয়ে সোশ্যাল দুনিয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। যদিও বিষয়টি কলকাতা পুরসভার নজরে এখনও আসেনি। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ জানে না বাড়িটি কার, ঠিকানাই বা কী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুটি চারতলা ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছিল। তার মাঝেই গজিয়ে উঠেছে এই নতুন ফ্ল্যাট। সরু এই ফ্ল্যাটটি কী ভাবে নির্মাণ করা সম্ভব? সেই কেরামতিতেও চমকে উঠছেন অনেকেই। খোঁজ নিতে গিয়ে উঠে এসেছে রাজা নামক এক ব্যক্তির নাম। জানা গিয়েছে, এই বাড়ি তিনিই বানিয়েছেন। যদিও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
এদিকে বাড়ির বাসিন্দাদের অবশ্য বিস্তর হেলদোল নেই। ওই ‘সরু বাড়ি’-র এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের থাকতে কোনও অসুবিধা হয় না। সবকিছুই রয়েছে। সামনে রয়েছে একটি বসার ঘর। রান্না ঘর আছে, বাথরুম আছে, বেডরুম রয়েছে। সবমিলিয়ে ওই বাড়ি বেশ ‘বাসযোগ্য’, এমনটাই দাবি তাঁর।
তবে খালি চোখে দেখলেও বোঝা যায়, বাড়িটি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে পুরসভা জানাচ্ছে., ওই তিনটি বাড়ি নিয়ে তাঁদের কাছে কোনও অভিযোগ নেই। এই বাড়িটি নিয়ে কলকাতা পুরসভার ১৫ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান রঞ্জিত শীল একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে এক ঘণ্টা আমি বাইক নিয়ে এলাকায় ঘুরি। সমস্ত দিকে নজর রাখি। সমস্ত কাউন্সিলররা একই রকমভাবে সক্রিয় হলে এই বিল্ডিং হত না।’
উল্লেখযোগ্য়ভাবে, সম্প্রতি গার্ডেনরিচে একটি বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। রবিবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দশ জনের। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওই বাড়িটি বেআইনি ছিল। পুলিশ গ্রেফতার করেছে প্রোমোটারকে।