রাজ্য়ের ২০টি আসনে প্রথম দফায় প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। আর এর মধ্যে নাম ছিল বহরমপুরেরও। অপেক্ষাকৃত লাইমলাইট থেকে দূরে থাকা চিকিৎসক এবং সমাজসেবী নির্মল সাহাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। এরপর অবশ্য বঙ্গ রাজনীতির জল বহুদূর গড়িয়েছে। বহরমপুরে রাজনীতির ‘অচেনা পিচে’ তৃণমূলের হয়ে লোকসভায় ব্যাটন হাতে নিয়েছেন স্বয়ং ইউসুফ পাঠান। স্বাভাবিকভাবেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে তৃণমূল এবং কংগ্রেসকে টেক্কা দিতে বিজেপির রণকৌশল ঠিক কী হতে চলেছে? তা নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে।
বহরমপুর লোকসভায় ৫২ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। বহরমপুরে জয় পরাজয়ের ক্ষেত্রে এই ভোট অন্যতম বড় ফ্যাক্টর। বৃহস্পতিবার থেকেই প্রচারে নামছেন তৃণমূল প্রার্থী। কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে অধীর চৌধুরীই এই কেন্দ্রে প্রার্থী নিশ্চিত জেনে শুরু হয়েছে দেওয়াল লিখন। সে অর্থে অনেক আগে বিজেপি প্রার্থী নির্মল সাহা প্রচারে নেমেছেন।
এবার বহরমপুরে বদল হবে
শাখারভ সরকার, বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি
কিন্তু, প্রচারে বাড়তি সময় পেয়ে কি কোনও ‘ম্যাজিক’ করতে পারলেন তিনি? গেরুয়া শিবিরের এই প্রার্থী রোজ চায়ে পে চর্চায় যোগ দিচ্ছেন। একদিন বহরমপুরে বাইক র্যালি করেছেন। বিধানসভা ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন করছেন। তাও রাজনৈতিক মহলের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসতে পারছেন না বলে মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।
বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘এবার বহরমপুরে বদল হবে। আলোচনার আসরে না থাকলেও শেষ চমক দেবে নরেন্দ্র মোদীর পরিবার।’ অন্যদিকে, জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘জেলার মানুষ অধীর চৌধুরীকে পাঁচবার আর্শীবাদ করেছেন। এবারও তাই হবে।’
তবে ইউসুফই শেষ হাসি হাসবেন, দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অশোক দাসের। তিনি বলেন, ‘বিধ্বংসী ইনিংস খেলে এবার অধীরের হাত থেকে বহরমপুরের ব্যাটন কেড়ে নেবেন ইউসুফ।’