তিনি আরও লেখেন, ‘সিরাজউদ্দৌলার হত্যার পর মীরজাফর বাংলার নবাব হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর তাঁর জায়গা নেন মীর কাসিম। তিনি কৃষ্ণচন্দ্রকে বন্দি করেছিলেন এবং মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন। কিন্তু, ব্রিটিশরা তাঁকে আনুগত্যের জন্য মুক্ত করে এবং মহারাজা উপাধিও দেয়।’ গোপাল ভাঁড়ও কৃষ্ণচন্দ্রকে ত্যাগ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন নীলাঞ্জন।
যদিও এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক তৃণমূল মুখপাত্র দেবাশিস রায় বলেন, ‘নীলাঞ্জন দাস নামে যিনি টুইট করেছেন তাঁর কথা জানি না। তবে রাজবাড়ি সম্পর্কে যে বা যাঁরা কুৎসা করছে এটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়। স্বাধীন ভারতবর্ষের সকলেরই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রয়েছে। কৃষ্ণনগরের রাজবধূকে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতিতে ওয়েলকাম করছে। দেখা হবে লড়াইয়ের ময়দানে।’
তাঁর কথায়, ‘এবার নিজেকে কৃষ্ণনগরের রানিমা বলে দাবি করা অমৃতা রায় বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন।’ এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট লেখক স্বদেশ রায় বলেন, ‘ব্রিটিশদের সঙ্গে কৃষ্ণচন্দ্রের একটা সখ্যতা ছিল তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। রানি ভবানি সেই সময় এই সখ্যতার বিরোধীতা করেছিলেন। তিনি যে ব্রিটিশের সঙ্গে সখ্যতা করেছিলেন তাঁর প্রমাণ বহন করছে ক্লাইভের উপহার দেওয়া কামান।’ যদিও গোপাল ভাঁড় একটি কাল্পনিক চরিত্র বলে দাবি করেছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে নদিয়া উত্তরের বিজেপির মুখপাত্র সন্দীপ মজুমদার বলেন, ‘এটা তৃণমূল কংগ্রেসের বানানো ইতিহাস। তৃণমূলের চুনোপুঁটি নেতারা যাঁরা ইতিহাস জানেন না তাঁরা এই সমস্ত কথা বলছেন। নদিয়া ১৯৪৭ সালের ১৮ অগাস্ট স্বাধীনতা পেয়েছিল। কারণ তিন দিন আমরা পূর্ব পাকিস্তানে ছিলাম। আর যাঁরা এই কথা বলছেন তাঁরা তাঁদের পূর্বপুরুষকে অস্বীকার করছেন। কারণ এরা পাকিস্তানের দালাল। যিনি এই কথা বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করব। ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ মোটের উপর এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে।