কাছে পিঠের দিঘা, সুন্দরবন, তারাপীঠ, শান্তিনিকেতন হোক বা একটু দূরের ঘাটশিলা, পুরী, চাকুলিয়া, উত্তরবঙ্গ-ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও আপোস করতে রাজি নয় বাঙালি। টানা ছুটি পেলেই ভ্রমণ পিপাসুদের একটা বড় অংশ দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরকেই বেছে নেয়। তবে এবার দোলের মাঝেই লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ায় কড়াকড়ি পুলিশ প্রশাসন। ইতিমধ্যে জেলা জুড়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জেলার মোড়ে মোড়ে নাকাচেকিং শুরু হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানান, দোলের ছুটিতে বহু মানুষ দিঘা বেড়াতে যান। কোনওভাবেই যাতে এই সময় কোনও অবান্তর অশান্তি তৈরি না হয় সেই জন্য পুলিশ প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা হয়। বাইরে থেকে এসে কেউ যাতে অসামাজিক কাজ করতে না পারে তার জন্য বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে দিঘায় গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরে বেড়ানো নিষেধ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই নজদারি করা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলাশাসক তানবীর আফজল জানান, ভোট ঘোষণা হলেই নিরাপত্তা নিয়ে আরও কিছু নির্দেশ আসে। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অনুসারে কাজ করা হচ্ছে। আগত পর্যটকদের যাতে বিশেষ কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় সেই দিকে নজর রাখা হবে। তবে পর্যটকদের বাধ্যতামূলকভাবে সমস্ত নথি সঙ্গে রাখতে হবে।
দিঘা হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, দোলের টানা ছুটিতে যাতে পর্যটকেরা দিঘায় আনন্দ করতে পারেন সেই জন্য ৭৫০/৮০০ টাকার মধ্যে রুম পাওয়া যাচ্ছে। পর্যটকেরা যাতে দোলের ছুটিতে আসেন এবং দিঘার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেই জন্য হোটেল মালিকদের তরফে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। লোকসভা নির্বাচনে দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ায় পুলিশি নজদারি বেড়েছে।