ইমরানের রাজনৈতিক কেরিয়ার
পেশায় আইনজীবী আলি ইমরান রামজের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ছাত্রাবস্থা থেকেই। কলেজ রাজনীতিতে ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভের পর সাধারণ সম্পাদক। তারপর যুব রাজনীতিতে পদার্পণ। তৎকালীন সময়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে একাধিক পদেও ছিলেন তিনি। ২০০৯ সালের উপনির্বাচনে প্রথমবার গোয়ালপোখরের ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক নির্বাচিত হন আলি ইমরান রামজ। ২০১১ সালে গোয়ালপোখর ভেঙে চাকুলিয়া বিধানসভা গঠিত হয়। এরপর, ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ভিক্টর চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে হেরে যান। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং বর্তমানে তিনি কংগ্রেসের প্রার্থীও হয়েছেন তিনি।
আলি ইমরান রামজ জানান, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির তৈরি করা মাটিতে যেভাবে সাধারণ মানুষের সমর্থন যেভাবে পাচ্ছেন, তাতে জেতার বিষয়ে তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল আর বিজেপির প্রার্থী একজনই। বিজেপির প্রার্থীকেই তৃণমূল এই বছর প্রার্থী করেছে। তৃণমূল এবং বিজেপির যে গোপন আঁতাত তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছে। এর ফল ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হবে।’ তাই তৃণমূল নয় বিজেপির মূল লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গেই হবে বলে দাবি করেন ভিক্টর।
জিতলে কী কী করবেন?
রামজ আরও জানান, তিনি নির্বাচনে জয়ী হলে জেলার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করবেন। বিশেষ করে রায়গঞ্জ-বারসই সড়ক পথ ও দূরপাল্লার রেল যোগাযোগের ওপরে জোর দেবেন। পাশাপাশি ইসলামপুর মহকুমায় মহিলা কলেজ তৈরির মতো একাধিক জলকল্যাণমূলক কাজও তিনি করতে চান বলে জানান ভিক্টর। স্থানীয় রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে চাকুলিয়া এলাকায় যথেষ্টই জনপ্রিয় রামজ। বিশেষত এলাকার সংখ্যালঘুদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে তাঁর। সেক্ষেত্রে দেখার রায়গঞ্জে কতটা কার্যকরী হয় তাঁর জনপ্রিয়তা।