পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার সভা থেকে ফের একবার বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমার চ্যালেঞ্জের ২০০ ঘন্টা পার, এখনও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতেই পারল না বিজেপি।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘২০২৪ এর ভোট শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবর্তনের জন্যে নয়. নিজের অধিকার রক্ষার ভোট। প্রতিবাদের ভোট, প্রতিশোধের ভোট, প্রতিরোধের ভোট। মোদীর গ্যারান্টি মানে আসলে ভাষণ, আর দিদির গ্যারান্টি মানে বিনা পয়সায় রেশন।’লোকসভা ভোটের আগে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেডিয়ামে জনগর্জন সভা থেকে কার্যত বিজেপির ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। তিনি বলেন, ‘গত ১৪ ই মার্চ অথ্যাৎ আজ থেকে ৮ দিন আগে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলাম ২০১৭-১৮ সালের আবাস প্লাস স্কিমে ও গত তিন বছরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে যদি ১০ পয়সাও কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে থাকে তো আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। সেই চ্যালেঞ্জ আজও কোন বিজেপির ছোট বড় নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা নেওয়ার সাহস পাননি। আমিও আজও বলছি বিজেপি নেতাদের, জায়গা আপনারা বলুন, সঞ্চালক আপনারা ঠিক করুন, আমাকে খালি সময় বলুন আমি রেডি, আজও চ্যালেঞ্জ ছুড়ছি। আসলে আপনারা পারবেন না।’
গত ১৪ ই মার্চ অথ্যাৎ আজ থেকে ৮ দিন আগে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলাম ২০১৭-১৮ সালের আবাস প্লাস স্কিমে ও গত তিন বছরে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে যদি ১০ পয়সাও কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে থাকে তো আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
আবারও চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
বিজেপিকে এদিন ‘মিথ্যাবাদী’ বলেও আক্রমণ শানান অভিষেক। তিনি বলেন, ‘বিজেপি মানেই মিথ্যাচার, মিথ্যাবাদী তা বারংবার প্রমাণিত। সাহস থাকলে গত ৫ বছরের উন্নয়নের খতিয়ান প্রকাশ করুক বিজেপি। দিদির গ্যারিন্টি মানে গ্যারিন্টিই। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও আমরা কথা দিয়েছিলাম ১০০ দিনের কাজের টাকা আমরা দেব। ইতিমধ্যেই ৫৯ লাখ মানুষের কাছে সেই টাকা পৌঁছে গেছে। দিদির গ্যারান্টিতে বলা হয়েছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা, তা আপনারা পেয়েছেন। ‘…৩১ ডিসেম্বের মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা’, কাটোয়ায় বড় প্রতিশ্রুতি অভিষেকের
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজ্যে আসাকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অভিষেক। তিনি বলেন, ‘আবার একটা লোকসভা ভোট সামনে আসছে। আবার সেইসব জুমলাবাজদের ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু হবে, মিথ্যাচার শুরু হবে। তাই আপনাদেরকে আপনাদের অধিকার বুঝে নিতে হবে। ২০২১-এর ভোটে বাংলায় শোচনীয় পরাজয়ের পর প্রতিশোধের রাজনীতিতে নেমেছে বিজেপি। তাই আপনাদের তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে বাংলা কারও কাছে মাথা নত করে না। আবাস যোজনায় বঞ্চনা সত্ত্বেও দিদির গ্যারান্টি এটা যে আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা সকলের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।’