পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় জনগর্জন সভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র নিশানা করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সিএএ ও এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রীতিমতো সরব হন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘গতকাল ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড টালিগঞ্জে, ৩৩ বছরে এখজন তরজাতা তরুণ কাগজ খুঁজে পাচ্ছে না বলেে আতঙ্ক ভয়ে আত্মহত্যা করেছে, এনআরসি-র ভয়ে, সিএএ-র ভয়ে।’প্রসঙ্গত, নেতাজিনগরে এক যুবকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় পরিবারের অভিযোগ করা হয়, সিএএ আতঙ্কে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। মৃত যুবকের নাম দেবাশিস সেনগুপ্ত। নেতাজিনগরে ওই যুবকের মামাবাড়িতে দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সিএএ লাগু হয়ে যাওয়ার পরেই নাগরিকত্ব নিয়ে আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। যদিও দেবাশিসের জন্ম অবশ্য কলকাতাতেই। কলকাতার হাজরায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে জন্ম তাঁর। সেখানকার বার্থ সার্টিফিকেটও ছিল তাঁর। তারপরেও নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কায় ভুগছিলেন দেবাশিস।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছ, দেবাশিসের মা ও বাবা শরণার্থী হয়ে এদেশে এসেছিলেন। সেই কারণে তাঁর কাছে তেমন কোনও পরিচয় পত্র ছিল না। সিএএ লাগু হওয়ার পরেই নাগরিকত্ব চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় ভুগছিলেন তিনি। এমনকী নিজের সেই আশঙ্কার কথা পরিবারের কাছে প্রকাশও করেছিলেন তিনি।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছ, দেবাশিসের মা ও বাবা শরণার্থী হয়ে এদেশে এসেছিলেন। সেই কারণে তাঁর কাছে তেমন কোনও পরিচয় পত্র ছিল না। সিএএ লাগু হওয়ার পরেই নাগরিকত্ব চলে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় ভুগছিলেন তিনি। এমনকী নিজের সেই আশঙ্কার কথা পরিবারের কাছে প্রকাশও করেছিলেন তিনি।
পাশাপাশি বিজেপি তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ও লক্ষ্মীরভাণ্ডার বন্ধ করার চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ খরলেন অভিষেক। একইসঙ্গে আসাব যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন তৃণমূলের সর্বভারতী। তিনি সাফ জানান, তৃণমূলের হাত শক্তিশালী করলে, আগামী ৩১ ডিসেম্বেরের মধ্যে বাড়ির টাকার প্রথম ইনস্টলমেন্ট আদেবনকারীদের অ্যাকাকাউন্টে চলে যাবে বলেও আশ্বাস দিলেন অভিষেক।