এক সভায় সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘আমি জীবনকে খুব এনজয় করি। অনেকে অনেক কিছু বলবে। সুজাতা বাইরে গিয়ে একটা কথা বারবার বলবে, চরিত্রহীন। ও আমার বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসে যাবে, আর আমি কি চুপচাপ বলে থাকব? আমার বাবা মায়ের চাপে আমি একজন বিধবাকে বিয়ে করেছি, আমার একটা ছোট্ট বাচ্চা আছে। আমি আনন্দিত বোধ করি, আমি ভালো আছি, আমি ভালো থাকব।’
প্রসঙ্গত, এর আগে একটি সভায় সৌমিত্র খাঁর উদ্দেশে সুজাতা মণ্ডলকে বলতে শোনা যায়, ‘পাঁচ বছর আগে সৌমিত্র খেতে পেত না। এখন প্রচুর সম্পত্তি হয়েছে। কোথা থেকে এই সম্পত্তি এল?’ শুধু তাই নয়, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে সুজাতা প্রশ্ন করেন, সৌমিত্রকে সন্ধে ৭টার পর পাওয়া যায় কি না। একইসঙ্গে সৌমিত্র খাঁকে ‘লম্পট’ ও ‘চরিত্রহীন’ বলেও কটাক্ষ করেন সুজাতা। সৌমিত্র বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। যদিও সৌমিত্র বারেবারেই এই ধরনের অভিযোগ তুললেও এতদিন খুব একটা বেশি প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি সৌমিত্রকে। এবার পালটা মুখ খুললেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনেও বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। যদিও সেই সময় আদালতের নির্দেশে বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকায় ঢুকতে পারেননি তিনি। সেই সময় তাঁর হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন সুজাতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই বলেন, কার্যত সুজাতার কাঁধে ভর করেই সেবার ভোট বৈতরণী পার করেছিলেন সৌমিত্র। যদিও পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। এবার তাঁকেই সৌমিত্রর বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। এদিকে, ওই সভা থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রশাংসা করতেও দেখা গেল সৌমিত্রকে। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল কিছুই করেনি, বুদ্ধদেববাবু বড়জোড়ায় কিছু কারখানা করেছিলেন, অস্বীকার করছি না। আর তৃণমূল নেতারা এখন কারখানা পিছু ৫০ হাজার টাকা মান্থলি করেছে।’