সেই কারণেই রীতিমতো তুলে নিয়ে গিয়ে ধান খেতের মধ্যে খুন করে ফেলে যাওয়া হয় শান্তনুকে, দাবি পরিবারের। ইতিমধ্যেই ঘটনা নিয়ে সরব রাজ্যের বিরোধী শিবির। পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তদন্ত করতে হবে, ম্যাজিস্ট্রেটকে সামনে রেখে ভিডিওগ্রাফি করে ময়নাতদন্ত করতে হবে, দাবি পরিবারের। ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল এলাকায়।
অন্যদিকে, রবিবার মৃতের গ্রামে এসে পৌঁছায় বিজেপি বিধায়ক তথা ঘাটাল লোকসভার বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয় হিরণের তরফে। পুলিশ ও শাসক দল তৃণমূলকে কড়া ভাষায় নিশানা করেন হিরণ।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে , এই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তাঁরা। আদালতের কাছে সিবিআই তদন্তের পাশাপাশি ফার্স্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটকে সামনে রেখে ময়নাতদন্তের আবেদন জানানো হবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত ময়নাতদন্তের অনুমতি পরিবারের তরফে দেওয়া হবে না বলেই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পর মঙ্গলবার গ্রামে মোতায়ন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। হিরণ বলেন, ‘যত বড় বড় নেতা আছে এই জেলার, সবাইকে সিবিআইয়ের জালে আমরা ধরব। বাংলার মা-বোনেরা লাঠি, ঝাঁটা হাতে নিয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াক। না হলে এই দলদাস পুলিশকে আটকানো যাবে না।’
শনিবার খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের বাড়বাশী এলাকায় ধান জমি থেকে উদ্ধার হল ওই বিজেপি কর্মীর দেহ। খড়গপুর ২ নম্বর ব্লকের পরপরআড়া দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাড়বাশী এলাকার ধান জমিতে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । শান্তনু ঘোড়াই নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃতদে উদ্ধার হয় যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় । শান্তনু ঘোড়া এর বাবার অভিযোগ, ছেলেকে বারবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হতো বা হুমকি দেওয়া হতো তৃণমূলের পক্ষ থেকে। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। পুরো ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবি করছে সকলেই।