প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই গেরুয়া আবির নিয়ে খেলায় মেতে উঠলেন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ‘রানিমা’ তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরেই রাজবাড়ির অলিন্দে দেখা গেল স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকদের। সকলের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় সহ গেরুয়া আবিরে হোলি খেললেন তিনি। এমনকী রং তুলি হাতে দেওয়াল লিখতেও দেখা গেল কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়কে। তিনি জানান, মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রচার ইস্যু অনেক আছে, সেগুলোকেই ধীরে ধীরে ইস্যু করবেন। সেই সঙ্গে জয় নিয়ে তিনি যে ১০০ শতাংশ আশাবাদী, তাও জানান অমৃতা।প্রসঙ্গত, অমৃতার জন্ম ১৯৬১ সালের ডিসেম্বরে। তাঁর স্বামী সৌমিশ চন্দ্র রায়। তিনি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ৩৯তম কুলবধূ। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সময় কাল থেকে ধরলে অমৃতা রায় নবম কুলবধূ। নদিয়া রাজা কৃষ্ণচন্দ্রর পরিবারের নবম পুরু সৌমিশ চন্দ্র রায়। তাঁরই স্ত্রী অমৃতা। আর অমৃতা রায়ের একমাত্র পুত্র মনীশ চন্দ্র রায়। তিন পেশায় আইনজীবী। অমৃতার স্বামী এয়ার ইন্ডিয়াতে চাকরি করতেন। কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ঐতিহ্যের ও সম্পত্তি দেখভালের জন্য লন্ডনে থাকাকালীন স্বেচ্ছাঅবসর নিয়ে কৃষ্ণনগরে চলে আসেন তিনি।
বর্তমানে কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি কলকাতা বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডেও বসবাস করেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। শিক্ষাক্ষেত্রে রানি বিড়লা উইমেন্স কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন তিনি । লা মার্টিন স্কুলেও পড়াশোনা করেছেন অমৃতা। কলেজ পাশ করার পর মন্তেশ্বরী দেবী শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও ধন্তেশ্বরী টিচার্স ট্রেনিং স্কুল তৈরি করেন। শিল্পকলার অত্যন্ত পৃষ্ঠপোষক অমৃতা রায়। ডেকরেশনের বিষয়েও তাঁর যথেষ্ট পারিদর্শিতা রয়েছে বলে জানা যায়।
বর্তমানে কৃষ্ণনগরের পাশাপাশি কলকাতা বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডেও বসবাস করেন বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। শিক্ষাক্ষেত্রে রানি বিড়লা উইমেন্স কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করেন তিনি । লা মার্টিন স্কুলেও পড়াশোনা করেছেন অমৃতা। কলেজ পাশ করার পর মন্তেশ্বরী দেবী শিশু শিক্ষা কেন্দ্র ও ধন্তেশ্বরী টিচার্স ট্রেনিং স্কুল তৈরি করেন। শিল্পকলার অত্যন্ত পৃষ্ঠপোষক অমৃতা রায়। ডেকরেশনের বিষয়েও তাঁর যথেষ্ট পারিদর্শিতা রয়েছে বলে জানা যায়।
এক্ষেত্রে ইন্টিরিয়র ডেকোরেশনে তিনি বিশেষ পারদর্শী অমৃতা রায়। ক্রিয়েটিভ ডিজাইন নিয়েও কনসালট্যান্টের কাজ করেছেন তিনি। অমৃতা রায়ের বাবা কিশোরপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী ছিলেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাজতন্ত্র উঠে যায়। তবুও আজও রাজবাড়ি ঘিরে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণনগরের মানুষের। আর তাই, বর্তমান ঐতিহ্যের প্রাণপুরুষ হিসেবে সৌমিশচন্দ্র রায়ের স্ত্রী অমৃতা রায়কেই ‘রানি মা’ বলে ডাকেন সকলে। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন অমৃতা রায়। তারপর থেকেই এই কেন্দ্রে অমৃতাকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তাঁকেই প্রার্থী করল বিজেপি।