এক গাড়ি চালক কুমার মঙ্গর বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি। দশটার পরে শুনলাম এই সড়কে গাড়ি চলবে না। প্রশাসন কখন কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না।’ ক্ষুব্ধ পর্যটন সংস্থাগুলিও। হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করলে উত্তরবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি নিয়ে ছেলেখেলা চলছে। পর্যটকদের পাশাপাশি সেনা এবং নিত্যযাত্রীরাও সমস্যায় পড়ছেন। কারও হেলদোল রয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।’
রবিঝোরা থেকে লিকুবীর পর্যন্ত রাস্তার ডান পাশে তিস্তার জলের স্রোতে এতটাই ক্ষয়ে গিয়েছে যে ফের ধস নেমে গেইলখোলার মতোই পুরো রাস্তাটি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেবক করোনেশন সেতু থেকে তিস্তা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩১ কিলোমিটার রাস্তাও বেহাল হয়ে রয়েছে। তারপর গ্যাংটক পর্যন্ত রাস্তা ঠিক রয়েছে। এদিন কালিম্পং জেলা প্রশাসনের সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে চারটি বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কালিম্পংয়ের জেলাশাসক জানিয়েছেন, পাহাড়ে অতি বৃষ্টির জেরে রবিঝোরা থেকে লিকুবীর পর্যন্ত পাহাড়ি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত অক্টোবরে জাতীয় সড়ক বেহাল হয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় সংস্থা জাতীয় সড়ক পরিকাঠামো উন্নয়ন সংস্থাকে মেরামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তাঁদের কাজে সন্তুষ্ট নয় রাজ্য সরকার।
রাস্তাটি ফের পূর্ত দপ্তরের জাতীয় সড়ক শাখার নয় নম্বর বিভাগকে দেখভালের জন্য দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। সড়ক হস্তান্তরের পরে পূর্ত দপ্তরের মেরামতির কাজ শেষ হলে ফের জাতীয় সড়ক খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু ভারত-চিন সীমান্ত নাথুলা থেকে উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ চিন সীমান্তের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই জাতীয় সড়কটি বার বার বেহাল হয়ে পড়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।