মণিপুরের সেনাপতি জেলায় জন্ম এবং বড় হওয়া শিল্পপতি রাজু বিস্তা বিজেপিতে যোগ দেন। সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি দলের জাতীয় মুখপাত্র হন তিনি। এর আগে ২০২১ সালে তাঁকে বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকও করা হয়েছিল দলের তরফে। কিছুদিন আগেই শিলিগুড়িতে সভা করে যান নরেন্দ্র মোদী। সেদিনই জোর গলায় রাজু দাবি করেছিলেন, এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী বদল করা হচ্ছে না। হলও তাই।
অন্যদিকে, প্রাক্তন আমলা হর্ষবর্ধন শ্রীংলার নাম ভাসছিল পাহাড়ে। জি-২০ সম্মেলনের প্রধান এই কূটনীতিককে প্রার্থী করা হতে পারে, এরকম সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল পাহাড়ে। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পর হর্ষবর্ধন নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘আমি আমার জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি। জীবিকার অনেক সুযোগ থাকা সত্বেও আমি আমার মাতৃভূমির জন্য কাজ করার সুযোগ গ্রহণ করেছি।’ আগামী দিনে তিনি দেশের হয়ে কাজ করে যেতে চান বলে জানান শ্রীংলা।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন হয়ে আসছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁর ইস্তেহারে এই বিষয়টি সুস্পষ্ট ধারণা দিক, এমনটাই দাবি করা হয়েছে মোর্চার তরফে। এমনকি, কিছুদিন আগেই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন বিধায়ক নিরজ জিম্বা। এই বিষয় নিয়ে রাজু বিস্তা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে আসছেন বলেও জানান তিনি। সেই কারণে, তাঁকে যাতে প্রার্থী করে রাখা হয়, জোরালো দাবি ছিল তাঁদের।