Trinamool Congress : নির্বাচনী আসন সমঝোতায় বিচ্ছেদ, দোলের আবিরেই ‘মিলন’ রায়গঞ্জে! – raiganj lok sabha tmc candidate krishna kalyani played holi with ali imran ramz


লোকসভার মহারণে তাঁরা যুযুধান দুই পক্ষ। নাম ঘোষণা হতেই রাজনৈতিক বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েছেন দুজনেই। তবে রঙের উৎসব একমঞ্চে নিয়ে এল দুই প্রার্থীকে। দোল উৎসবে নিজেদের আবির মাখিয়ে উৎসবে মাতলেন রায়গঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী ও কংগ্রেস প্রার্থী আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর।সারাদেশের পাশাপাশি রায়গঞ্জেও দোল উৎসবে মেতে উঠেছেন আপামর মানুষ। আর এই দোল উৎসবের আবহে যেন মিলে গিয়েছে রাজনীতির রং। রাজনীতির রং যাই হোক না কেন, উৎসব তো সকলের। তাই উৎসবের দিনে রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে রাঙিয়ে দেওয়াটাই সৌজন্যতার প্রতীক। সৌজন্যতার সেই ছবিই ধরা পরল রায়গঞ্জের করোনেশন উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে।

রায়গঞ্জে শান্তিনিকেতনের আদলে অনুষ্ঠিত হয় বসন্ত উৎসব। আর সেই উৎসবে এক মঞ্চে পাশাপাশি দেখা মিলল রায়গঞ্জ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী ও জোটের প্রার্থী আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টরকে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই ভোটের মরশুমে বসন্ত উৎসবে ফিরল সৌজন্যের বার্তা। রাজনৈতিক ভাবে তারা পৃথক রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হলেও বসন্তের আবহে সৌজন্যতার ত্রুটি থাকল না আজ।

দুই প্রার্থীই একে অপরকে রাঙিয়ে দিলেন রঙে। কৃষ্ণ হাতে তুলে নিল হলুদ আবির আর সেই রঙেই রাঙালেন ভিক্টরকে ব্যতিক্রম হল না ভিক্টরের ক্ষেত্রেও। একে অপরকে রাঙালেন হলুদ আবিরে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তকেও এদিন আবীর ছুঁইয়ে প্রণাম জানালেন তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। তিনিও রাঙালেন কৃষ্ণ কল্যানীকে। ভোট উৎসবে সামিল দুই প্রতিদ্বন্দ্বী। জনসংযোগের উদ্দেশ্যে রায়গঞ্জ বসন্ত উৎসবে যোগ দিয়ে দিলেন সৌজন্যের বার্তা।

প্রাক্তন ফরওয়ার্ড ব্লক বিধায়ককে টিকিট কংগ্রেসের, খেলা ঘোরাবেন সংখ্যালঘু মুখ ইমরান?
তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘দোল উৎসব গোটা দেশে সাড়ম্বরে পালিত হয়। এটি একটি ঐতিহ্য। এই বিশেষ দিনে রাজনীতির ঊর্দ্ধে গিয়ে ধর্মীয় ভেদাভেদকে দূরে রেখে সকলেই উৎসবে সামিল হয়েছেন। সকলকে এই উৎসবের শুভেচ্ছা জানান তিনি। অপরদিকে, বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী আলি ইমরান রমজ জানান, সকলকে বসন্ত উৎসবের শুভেচ্ছা। রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলে খুব সুন্দর আয়োজন করা হয়েছে। দেশে যখন বিভাজনের রাজনীতি চলছে তখন রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের এই অনুষ্ঠান বার্তা দিচ্ছে সম্প্রীতির। যার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তবে দোলের পরেও কি রাজনৈতিক সমঝোতা বজায় থাকবে? সে উত্তর দেবে ভবিষ্যতের ভোট রাজনীতির প্রেক্ষাপট।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *