এদিকে এই ভিডিয়ো পোস্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এস এ হালিম নামে এক ইউজারের প্রতিক্রিয়া, ‘প্রত্যেক মানুষের সমান অধিকারকে সমতা বলা হচ্ছে। বামফ্রন্ট ফিরে এলে মানুষ আবারও নিজের অধিকার ফিরে পাবে।’ আবার সৌহার্দ্য মুখোপাধ্যায় নামে এক ইউজার লেখেন, ‘যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জন্য এত লোকের কাজ যাচ্ছে, সেটা কি প্রমোট করছে?’ তবে অনেকেই সিপিএম-এর এই পদক্ষেপকে ‘ভালো উদ্যোগ’ বলেছেন।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে মোট ৭ দফায় হতে চলেছে নির্বাচন। ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ভোট, চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ভোটের ফলাফল ৪ জুন। ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করতেও শুরু করে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। পিছিয়ে নেই বামেরাও। এখনও পর্যন্ত ৩ বারে মোট ২১ আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। এবারে বামেদের প্রার্থী তালিকায়, পুরনোদের পাশাপাশি নতুন মুখেদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রার্থী করা হয়েছে বহু তরুণ তুর্কিকেও। সেক্ষেত্রে একদিকে যেমন প্রার্থী হয়েছেন মহম্মদ সেলিম বা সুজন চক্রবর্তীর মতো অভিজ্ঞ মুখেরা, তেমনই টিকিট পেয়েছেন সৃজন ভট্টাচার্য, সায়ন বন্দ্য়োপাধ্যায়, দীপ্সিতা ধরের মতো ইয়াং ব্রিগেড।
এদিকে সিপিএম-এর এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা তথাগত রায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘শুনলাম বামেরা নাকি এবার ভোট লড়তে AI ব্যবহার করছে! মনে পড়ে উনিশশো-আশির দশকের দাঁতমুখ খিঁচিয়ে লুঙ্গি গুটিয়ে বাম ক্যাডাররা চিল্লাত, যে কোনও মূল্যে কম্পিউটার রুখছি রুখব! কালের গতি অপ্রতিরোধ্য। যে গতিতে মার্কস-লেনিন বাজে কাগজে পরিণত, সেই গতিতে আবার আসছেন নরেন্দ্র মোদী।’