ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ ঘোষ ২০১৬ সালে লড়াই করেছিলেন খড়গপুর বিধানসভা থেকে। এরপর ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে মেদিনীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন দিলীপ ঘোষ। গেরুয়া শিবিরের এই দাপুটে নেতার বরাবর পছন্দের ময়দান ছিল খড়গপুর। মেদিনীপুরে থাকাকালীন বরাবরই খড়গপুরে প্রাতঃভ্রমণ করতেন দিলীপ ঘোষ। বোগদায় করতেন চা চক্র। তবে দীর্ঘদিন ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের ভোটার হওয়ার কারণে প্রতিবারই ভোটের দিন সমস্যায় পড়তে হতো দিলীপ ঘোষকে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সম্প্রতি নিয়ম মেনে ভোটার কার্ড সংশোধনের আবেদন জানান দিলীপ ঘোষ। ২২৪ খড়্গপুর সদর বিধানসভায় ভোটার কার্ড হয় দিলীপ ঘোষের। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী যা করার তিনি করেই খড়গপুরের ভোটার হয়েছেন।’
এ বিষয়ে অবশ্য বিশেষ আক্ষেপ নিয়েই দিলীপ ঘোষের। দিলীপ ঘোষের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আগে ঝাড়গ্রামে ভোট দিতাম। গতবার নির্বাচনের সময় আমি খড়গপুরে ভোটার ছিলাম না বলে কেস দিয়েছে। এবার যাতে কেস দিতে না পারে সে কারণেই খড়গপুর সদরের ভোটার হয়েছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘আগে মেদিনীপুরে লড়াই করে ঝাড়গ্রামে ভোট দিতাম। এবার মেদিনীপুরে ভোট দিয়ে বর্ধমানে লড়ব।’
‘এবার মেদিনীপুরে ভোট দিয়ে বর্ধমানে লড়াই করব।’
দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষের লড়াই
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম ভোটে লড়াই করেন দিলীপ। খড়গপুর সদর বিধানসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী হন দিলীপ। সেখানকার কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন জ্ঞান সিং সোহনপাল। তিনি ১৯৮২ সাল থেকে ২০১১ সাল সাতবার একটানা জয়ী হয়ে এসেছেন খড়গপুর সদর বিধানসভার আসন থেকে। জনপ্রিয় মানুষ এবং রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষ তাঁকে ভালোবাসতেন।খড়গপুর সদর বিধানসভায় দিলীপ ৬১ হাজার ৪৪৬ ভোট পেয়ে জ্ঞান সিং সহনপাল কে ৬৩০৯ ভোটে পরাজিত করেন । ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনের পর দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই করে বিজেপি। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি জঙ্গলমহলেও ভালো ফল করে বিজেপি। দিলীপ ঘোষের কাঁধে ভর করেই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন হয়। ১৮ টি লোকসভা আসন জয়লাভ করে বিজেপি। দাপুটে রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মানস ভুঁইয়াকে ব্যাপক ভোটের মার্জিনে পরাজিত করেন দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে দিলীপ ঘোষ ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৪৩৩ ভোট পান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দলে পট পরিবর্তনের পর অনেকটাই কোণঠাসা তিনি। যদিও দিলীপ নিজে বলে থাকেন, ‘দল আমাকে সব দিয়েছে, আমার এমন কিছু মনে হয় না।’
ঠিকানা বদলাতে কী করতে হয়?
নির্বাচন কমিশনের সাইট থেকে
Form 8
ডাউনলোড করে তা তুলে দেওয়া যেতে পারে। BLO-র কাছে গিয়েও আবেদনপত্র নিয়ে তা জমা করা যেতে। সাত থেকে দশ দিন সময় লাগবে। লোকসভা ভোটের আগে এখনও চাইলে আপনি ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারেন।