প্রধানমন্ত্রীর কাছে রেখা পাত্র অভিযোগ করেন, গত ২০১১ সাল থেকে তাঁরা ভোট দিতে পারেননি। তাঁর কাছে আর্জি জানান, এবার যেন সন্দেশখালির মানুষ ঠিকভাবে ভোট দিতে পারে। গোটা মোদী পালটা জানান, এই বিষয় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। তাঁরা নিশ্চয়ই যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সবাই যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে সে ব্যাপারে কমিশন পদক্ষেপ করবে, বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে মোদী তাঁর কাছে বারবার জানতে চান, আপনার নাম যখন ঘোষণা হল, তখন আপনার প্রতিবেশী সহ সন্দেশখালি এলাকার লোকজন কী প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। উত্তরে রেখা জানান, সবাই খুবই খুশি। উল্লেখ্য, রেখা পাত্রর নাম ঘোষণা হওয়ার পর কিছু মহিলা প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁকে প্রার্থী যাতে না করা হয়, সে ব্যাপারে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
এই ঘটনার কথাও মোদীকে জানান রেখা। পাশাপাশি, এও জানান তৃণমূল কংগ্রেসের চাপে ওই প্রতিবাদ অনেকে করেছিল। কিন্তু, তাঁরা পরে ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁদের পাশেও আমি থাকব, কেননা তাঁরাও তো এই আন্দোলনে সামিল ছিল জানান রেখা। যারা বিরোধিতা করেছে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর কথা শুনে আপ্লুত হন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী রেখাকে জানান, আপনাকে প্রার্থী করে আমরা খুব মহৎ কাজ করেছি। খুব কম মানুষ হয়, যাঁরা তাঁদের বিরোধিতা করা হলেও তাঁদের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। আপনিও যাঁরা বিরোধিতা করেছেন তাঁদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
মোদী রেখাকে জানান, ‘আপনি এত বড়ো লড়াই লড়েছেন, আপনি তো সবার কাছে শক্তি স্বরূপা। আপনি এত প্রভাবশালী একজনকে জেলে পাঠিয়েছেন।’’ রেখা পাত্র নিশ্চয়ই এবারের ভোটে জিতবেন এবং তিনি দিল্লি যাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, বাংলা তো দুর্গা পুজো, দুর্গা দেবীর শক্তি আরাধনা করার স্থান। আপনি সেই শক্তির বাহক।’ সন্দেশখালির মহিলাদের কথা সারা দেশের সামনে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানান মোদী।