Rudranil Ghosh BJP,টিকিট না পেয়েই ‘বেসুরো’ রুদ্রনীল, কোন কেন্দ্রে ছিল ‘শ্যেনদৃষ্টি’? মুখ খুললেন বিজেপি নেতা – rudranil ghosh says people of howrah and krishnanagar loves him in context of getting ticket from bjp for lok sabha


লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপির এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় নাম নেই রুদ্রনীল ঘোষের। মঙ্গলবার ‘এবিপি আনন্দ’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করতে শোনা গেল এই তারকা রাজনীতিককে। হাওড়া এবং কৃষ্ণনগর, এই দুই কেন্দ্রের মানুষ থাকে ভালোবাসেন, এমনটাই মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে।একসময় তিনি রাজ্যের বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সংসদের সভাপতি ছিলেন। ২০১৪ এবং ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি ছিলেন তৃণমূলের স্টার ক্যাম্পেনার। কিন্তু, পরবর্তীতে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেত্রে সুর চড়াতে শোনা গিয়েছিল রুদ্রনীল ঘোষকে। ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে ‘বেসুরো’ শোনা গিয়েছিল রুদ্রনীলকে। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হয়।

এরপর গঙ্গা দিয়ে বহু জল বয়ে গিয়েছে। তিনি যোগদান করেছেন বিজেপিতে। গেরুয়া শিবিরের হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন তিনি। কিন্তু, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির প্রকাশিত প্রার্থী তালিকায় নাম নেই রুদ্রনীল ঘোষের।

এরপরেই দোলের দিন তিনি দলের একাধিক হোয়াসটঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করেছিলেন। এরপরেই প্রশ্ন উঠছিল, আগামীদিনে কি কোনও বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছেন তিনি? এবার বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুদ্রনীল বলেন, ‘আমি সবথেকে বেশি পড়েছিলাম কৃষ্ণনগরে। একাধিক সভা করেছি পঞ্চায়েত নির্বাচনে। গলাও অনেক সময় সঙ্গ দিত না। সেখানকার মানুষ আমাকে ভালোবাসেন।’

পাশাপাশি কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির ‘রানিমা’ অমৃতা রায়কে প্রার্থী করা প্রসঙ্গ উল্লেখ করতে গিয়ে বারবার তাঁর বয়সের উপর জোর দিতে শোনা যায় রুদ্রনীলকে। তিনি বলেন, ‘৬৩ বছর বয়সে মানুষ বিশ্রাম নেন। সেখানে গিয়ে তিনি যে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তার জন্য শ্রদ্ধা জানাই।’

তবু ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের জায়গা থাকে বলে দাবি করেছেন রুদ্রনীল। এরপরেই কটাক্ষ শোনা গিয়েছে দলেরই একাংশের কণ্ঠে। ‘সুবিধাবাদী’ তত্ত্বও খাড়া করেছেন অনেকেই। প্রার্থী না দেওয়ার পরেই কি তবে বেসুরো রুদ্রনীল ঘোষ? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।

বিজেপির একাধিক গ্রুপ ‘লেফট’, কারণ খোলসা রুদ্রনীলের

এই নেতা অবশ্য এই প্রসঙ্গে ফুঁসে উঠেছেন। তাঁর দাবি, ‘আমাকে যে কেউ ভদ্রমহিলা বা রাঙাবউদি বলে ডাকতে পারেন। এটা তো প্রত্যেকের সামাজিক ইচ্ছে। ২০১৮-র শুরুতে আমি তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলাম। তারপরেও ২০২০ পর্যন্ত আমি সরকারি চেয়ার সামলেছি। সেই সময়ও মন্ত্রীর ভুল কাজের বিরুদ্ধে আমি প্রতিবাদ করেছি। আমাকে কেউ সুবিধাবাদী বলতে পারবে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *