সোমবার দোলের দিন বহরমপুরের একাধিক জায়গায় প্রচার সারেন ইউসুফ। দলীয় নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বসন্ত উৎসবে যোগ দেন। এর মাঝেই বহরমপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রতন শিশু উদ্যানে এসে ইউসুফ জানান, তাঁর ভাই ইরফান পাঠান বর্তমানে আইপিএল নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে, সেখান থেকে কিছুটা ফুরসৎ পেলেই তিনিও প্রচারে আসবেন। শুধু তাই নয়, ভারতীয় ক্রিকেট দলের অনেক সদস্যই প্রচারে আসতে পারেন বলে জানান ইউসুফ।
ইউসুফ বলেন, ‘আমি এখানে পাঁচ বছর থাকব, সেই সময় বহু ক্রিকেটারকে এখানে আনব। এই জেলার মানুষকে বহু ক্রিকেটারকে দেখার সুযোগ করে দেব।’ আইপিএল টুর্নামেন্ট বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের যুব সমাজের আশাভঙ্গ করেছে। ক্রিকেট প্রেমীরা ইউসুফ খানের প্রচারে জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারদের কাছ থেকে দেখতে প্রতিক্ষার প্রহর গুনছিল। সমর্থকদের আশা জিইয়ে রাখলেন ইউসুফ।
টানা পাঁচ বার এই আসন থেকে বিরোধী প্রার্থীদের দাঁড়াতে দেননি কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর দুর্গে ফাটল ধরাতে এবার বড় বাজি তৃণমূলের। একটি জনসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দাবি করেছেন, এখানে অধীর চৌধুরীকে হারাতে নয়, বহরমপুর আসন জেতাটাই তাঁদের মূল লক্ষ্য।
সেই লক্ষ্যে এই আসনে কোমর বেধে নেমেছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। এই কেন্দ্রে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নাম ঘোষণা হয়ে গেলেও তাঁকে সেভাবে প্রচারে দেখা যায়নি। তবে শুরু থেকেই টানা জনসংযোগ রয়েছেন ইউসুফ। একদিকে, মুসলিমদের সম্প্রদায়ের রোজা পালন, অন্যদিকে দোল উৎসব সমস্ত অনুষ্ঠানেই মানুষের মাঝে গিয়ে হাজির হচ্ছেন ক্রিকেটের বিধ্বংসী ফিনিশার।