এই দেওয়াল লিখনের পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কি তৃণমূলকে দেওয়াল লিখনের মধ্যে দিয়েই পালটা জবাব দিল বিজেপি? এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, ‘পালটা দেওয়াল লিখনের বিষয় নয়, তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব দুর্নীতিগ্রস্ত। একাধিক নেতৃত্বকে ইডি সিবিআউ নোটিশ পাঠিয়েছে। অনব্রত মণ্ডল তিহার জেলে আছেন। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন আগামীদিনে তাঁরাও একই পথের পথিক হবেন। মানুষের সামনে সেগুলিকেই তুলে ধরা হয়েছে।’
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এই লেখাটি বিজেপিই লিখেছে বলে মনে হচ্ছে। ওদের করার কিছু নেই, তাই ইডি সিবিআই-কে দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে চাইছে। তবে তেমনটা হওয়ার নয়, যাঁকে যেমনটাই চাপ সৃষ্টি করুক না কেন, তৃণমূলই জিতবে।’ একইসঙ্গে বিজেপি যে এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি সেই প্রসঙ্গে মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ওদের কেউ এখানে দাঁড়াতেই চাইছেন না। ভাবছে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূম, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে। তাই প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না।’
প্রসঙ্গত, গোরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে তিহার জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকেও। তাঁকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিহার জেলে। ইতিমধ্যেই খারিজ হয়েছে তাঁদের জামিনের আবেদনও। যদিও অনুব্রত জেলে থাকলেও জেলায় অনুগামীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা যে সামান্যতমও কমেনি তার প্রমাণ বারেবারেই পাওয়া গিয়েছে। বলতে গেলে অনুব্রতর অনুগামীরা এখনও তাঁকেই তাঁদের ‘ক্যাপ্টেন’ বলে মনে করেন।