ঠিক কী সমস্যা হয়েছে?
এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানান, হাওড়া স্টেশনে প্রবেশের মুখে একটি পয়েন্টে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা গিয়েছে। আর সেই কারণেই এক থেকে ছয় নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢোকা বা বেরোনো বন্ধ রাখা হয়েছে।পূর্ব রেলের হাওড়া শাখায় ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা। হাওড়া স্টেশনের কাছে ঝিল সাইডিংয়ে সিগন্যাল ফেলিওর (পয়েন্ট বাস্ট) হওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। সকাল ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস হাওড়া স্টেশনে আসার সময় ঘটনাটি ঘটে। এর ফলে হাওড়া স্টেশনের ১-৬ নম্বর প্লাটফর্মে কোনও ট্রেন চলাচল করছে না। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, এই সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করা হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
কখন স্বাভাবিক পরিষেবা?
কর্মব্যস্ত দিনে ১ থেকে ৬ নং প্ল্যাটফর্ম বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে যাত্রীদের। লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যেতে পারে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই সমস্যার কথা জানার পরেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় তা সারানোর কাজ। ঘটনাস্থলে যান রেলের আধিকারিকরাও।
জানা গিয়েছে, এদিন ১ থেকে ৫ নং প্ল্যাটফর্মে পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে স্বাভাবিক পরিষেবা শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোট ২২টি EMU ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সমস্যার কথা নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যান রেলের আধিকারিকরা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়।
জানা যায়, পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। যদিও কর্মব্যস্ত দিনে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। অনেকেই হাওড়া পর্যন্ত ট্রেন সফরের মধ্য দিয়ে নিজেদের কর্মস্থলে পৌঁছন। সেই জায়গা থেকে বিস্তর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। এক যাত্রীর কথায়, ‘ট্রেনে এই ধরনের সমস্যা হলে অফিস সময়ে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে বিস্তর সমস্যা পোহাতে হয়।’