Maharaja Krishna Chandra Roy,রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ইতিহাস টেনে অমৃতাকে আক্রমণ তৃণমূলের, রাজবধূকে কী পরামর্শ মোদীর? – tmc alleges against maharaja krishna chandra roy to involve in murder plan of nawab sirajuddaula


কিছুদিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের রাজবধূ অমৃতা রায়। তাঁকে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী করেছে বিজেপি। আর অমৃতা রায় বিজেপিতে যোগদানের পরেই তাঁর পরিবারের পূর্ব পুরুষ রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলার হত্যার ষড়যন্ত্রে সামিল থাকার অভিযোগ উঠছে। এমনকী এই নিয়ে চর্চা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। এবার সেই প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়া জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। আবার এই প্রসঙ্গ উঠে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের টেলিফোনিক কথপোকথনেও।কিছুদিন আগে নীলাঞ্জন দাস নামক এক ব্যক্তি এক হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। এক্স হ্যান্ডেলে তাঁর বায়ো বলছে তিনি একজন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক। পোস্টে তিনি তিনি লেখেন, ‘সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যার চক্রান্তকারীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র রায়। মীরজাফরের সঙ্গে মিলিত ছিলেন তিনিও।’ ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘রবার্ট ক্লাইভের সঙ্গে কৃষ্ণচন্দ্রের যোগসাজশের ফলে পলাশির যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজিত হন, যা ভারতে ব্রিটিশ শাসনের চূড়ান্ত ভিত্তি স্থাপনের পথকে প্রশস্ত করে দেয়।’ সেই পোস্টকে ঘিরে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

এবার সেই বিষয়ে দলের এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘ইতিহাস নিজেই নিজের পুনরাবৃত্তি করে। ১৯৫৭ সালে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র মীর জাফর, জগৎ শেখ ও উমি চাঁদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে মেরুদণ্ডহীন হয়ে নিজেকে ইংরেজেদের কাছে বিক্রি করে দেন। ২০২৪ সালে তাঁর পরিবারের সদস্য রাজমাতা অমৃতা রায় বাংলার মানুষের সঙ্গে ফের একবার প্রতারণা করার জন্য একটি সমঝোতায় সাক্ষর করে বাংলা বিরোধী বিজেপির সঙ্গে চুক্তি করলেন। মুখ বদলে গেলেও তাঁদের জমিদারি আজও কায়েম রয়েছে। আগামী নির্বাচনে এই বাংলা বিরোধীদের বর্জন করুন। ওঁরা তখনও ভরসার ছিলেন না, নিশ্চিতভাবে এখনও হবেন না।’

এদিকে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে অভিযোগ করলেন অমৃতা রায়। অমৃতা প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলা অত্যন্ত অত্যাচারী ও দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। সেই জন্য অনেক রাজা একসঙ্গে মিলিত হন। জগৎ শেঠ ছিলেন, আরও অনেকে ছিলেন। সকলের প্রচেষ্টায় ওই কাজ সফল হয়েছিল। যদি সেটা না হত, তাহলে আজ আমরা হিন্দু থাকতে পারতাম না। আমাদের ভাষা অন্য হত, আমাদের পোশাক একদম অন্যরকম হত, সবই অন্যরকম হয়ে যেত। আমরা অন্যের অধীনে থাকতাম।’

অমৃতার থেকে এই কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোটবেলায় আমাদের যা পড়ান হত, সেখানে কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের সমাজ সংস্কারের কাজ, বাংলার বিকাশের কাজ, এই সমস্ত বলা হত। এঁরা ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেন। তাই অনেক উলটো পালটা কথাও বলেন। ৩০০ বছর পুরনো, ৫০০ বছর পুরনো ঘটনার কথা বলে বদনাম করার চেষ্টা করবে। নিজেদের বর্তমানের পাপকে লোকানোর জন্য তাঁরা এই ধরনের বিষয় খুঁজতে থাকেন। কিন্তু ভগবান রামের কথা যখন আসে, তখন এঁরাই বলেন প্রমাণ কোথায়? এটা তাঁদের দ্বিচারিতা। এই নিয়ে মনের ওপরে চাপ ফেলবেন না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *