উন্নয়নের এই কর্মসূচি সত্ত্বেও যদি কোনও অঞ্চলে কিছু মানুষ শাসকদলের প্রতি পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হন, তা হলে সেই অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের কাজে কোনও ঘাটতি রয়েছে বলে অভিষেক বৈঠকে মন্তব্য করেছেন। সূত্রের খবর, ঘাটতি পূরণে তাঁর বার্তা, ‘এলাকার মানুষ কী চাইছেন, তা নোট-ডাউন করুন। মানুষের মনের কথা বুঝতে হবে।মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিতে হবে।’ ব্রিগেডে ১০ মার্চ ‘জনগর্জন সভা’য় তৃণমূলের প্রার্থী-তালিকা ঘোষিত হলেও বিজেপি, বাম-কংগ্রেস ডায়মন্ড হারবারে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। নওশাদ সিদ্দিকি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হতে চান বলে একাধিক বার হুঙ্কার দিলেও আইএসএফ-ও এই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
বিরোধী কারা প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্ব ভাবতে নারাজ। ডায়মন্ড হারবার-সহ রাজ্যে যে উন্নয়নের কাজ হয়েছে, তাকেই মূল ফোকাস করে নির্বাচনী প্রচার চালাতে চাইছেন তাঁরা। করোনার সময়ে ডায়মন্ড হারবারে অতিমারীর মোকাবিলায় যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, মানুষের হাতে বার্ধক্য ভাতা তুলে দিতে যে উদ্যোগ হয়েছে, পানীয় জলের নতুন যে পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে—এই বিষয়গুলিকেই প্রচারের সামনের সারিতে রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন অভিষেক।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে বাংলার প্রাপ্য অর্থ আটকে রেখেছে, তা-ও সমান গুরুত্ব দিয়ে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিষেকের এই বৈঠকের পর ক্যানিং পূর্বের তৃণমূলের বিধায়ক সওকত মোল্লা বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গত দশ বছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ করেছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই উন্নয়নের কথা মানুষের সামনে আমরা তুলে ধরব।’
এর পরেও যদি আসন্ন নির্বাচনে কোনও ওয়ার্ডে অথবা বুথে জোড়াফুলের প্রত্যাশিত ফল না হয়, তা হলে সেই অঞ্চলের তৃণমূলের নেতৃত্বকে দায়িত্ব নিতে হবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিষেক। আজ, বৃহস্পতিবার ও কাল, শুক্রবার বাকি আরও কয়েকটি বিধানসভা এলাকার নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি বৈঠক করবেন। ডায়মন্ড হারবারে কর্মিসভা-পর্ব শেষ হলে রাজ্যের অন্য লোকসভাগুলিতে ফের প্রচারে যেতে পারেন অভিষেক।