মঙ্গলবার সকালে তারই লাভের টাকা নিয়ে দু’জনের মধ্যে গোলমাল বাধে। তার পর দু’জনে বাড়িও ফিরে যান। কিন্তু সেখানে বিষয়টা মেটেনি। রাত দেড়টা নাগাদ সুমিত একটি গাড়ি ভাড়া করে বেশ ক’জনকে নিয়ে যোগাযোগ ভবনের সামনে পৌঁছয় বলে খবর। সঞ্জয় তখন ঘুমোচ্ছিলেন বলে আত্মীয়রা পুলিশকে জানিয়েছেন। ফুটপাথের বাকি বাসিন্দাদের থেকে সঞ্জয়ের খোঁজ পায় সুমিত।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ঘুম থেকে তুলে ভারী পাথর দিয়ে লাগাতার সঞ্জয়ের মাথায় আঘাত করে সুমিত। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সঞ্জয়। তার পরেই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। সঞ্জয়কে তড়িঘড়ি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পৌঁছয় বউবাজার থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছন লালবাজারের হোমিসাইড শাখার গোয়েন্দারাও। রাতেই পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এবং সুমিতের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সুমিত ছাড়া গাড়িতে আরও যারা ছিল, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে টাকা পাওনা থাকলেও তা না-দেওয়ার কারণেই সঞ্জয়কে সে খুন করেছে বলে জেরায় দাবি সুমিতের। কিন্তু শুধুই টাকা, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। বুধবার সুমিতকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে বিচারক ৭ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠান।