নিজের সার্ভিস রাইফেল থেকে গুলি চালিয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন কলকাতা বিমানবন্দরে কর্তব্যরত সিআইএসএফ জওয়ান সি বিষ্ণু। মাত্র ২৫ বছর বয়সের তেলেঙ্গানার বাসিন্দা সি বিষ্ণুর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ইতিমধ্য়েই তদন্ত শুরু করেছে সিআইএসএফ। বিষয়টি নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে বিশদে কিছু বলতে না চাইলেও, সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে মানসিক অবসাদ থেকেই এই আত্মহত্যা।২০২২ সালে সিআইএসএফ-এ যোগ দেন সি বিষ্ণু। বৃহস্পতিবারও কলকাতা বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর টাওয়ারে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর দেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। তবে সি বিষ্ণুর সঙ্গে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অন্যান্য সহকর্মীরা জানান, তাঁর কথাবার্তা স্বাভাবিক ছিল। তাহলে হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হল ওই সিআইএসএফ জওয়ানকে? অর্থাৎ কেন এমন ঘটনা, তা জানতেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
আজ সকালে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎই বিমানবন্দর ৫ নম্বর গেট এলাকা থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তাতেই কর্তব্যরত অন্যান্য সিআইএসএফ জওয়ানরা সতর্ক হয়ে যান। তারপর জানা যায় ৫ নম্বর গেটে যে টাওয়ার রয়েছে, সেখান থেকেই ওই গুলির শব্দ এসেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য কর্মীরা টাওয়ারের উপর ওঠেন। তাঁরা দেখেন সেখানে লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন কর্তব্যরত ওই সিআইএসএফ জওয়ান। নিজের এসএলআর সার্ভিস রাইফেল থেকেই তিনি নিজেকে গুলি চালিয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আজ সকালে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎই বিমানবন্দর ৫ নম্বর গেট এলাকা থেকে গুলির শব্দ পাওয়া যায়। তাতেই কর্তব্যরত অন্যান্য সিআইএসএফ জওয়ানরা সতর্ক হয়ে যান। তারপর জানা যায় ৫ নম্বর গেটে যে টাওয়ার রয়েছে, সেখান থেকেই ওই গুলির শব্দ এসেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য কর্মীরা টাওয়ারের উপর ওঠেন। তাঁরা দেখেন সেখানে লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন কর্তব্যরত ওই সিআইএসএফ জওয়ান। নিজের এসএলআর সার্ভিস রাইফেল থেকেই তিনি নিজেকে গুলি চালিয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
জানা গিয়েছে, সি বিষ্ণুর থুতনির নীচে গুলি লাগে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাঁকে তড়িঘড়ি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। সার্ভিস রাইফেল থেকেই নিজেকে গুলি করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান সিআইএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পৌঁছয় বিমানবন্দর থানার পুলিশও। তবে ঠিক কী কারণে ওই জওয়ান আত্মহত্যা করলেন, সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কোনও তথ্য তদন্তকারীদের হাতে উঠে আসেনি। সিআইএসএফ-এর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশও।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালেও এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটে কলকাতা বিমানবন্দরে। সেই সময়ও ডিউটিরত এক সিআইএসএফ জওয়ানের এভাবেই মৃত্যু হয়। মৃত ওই সিআইএসএফ জওয়ানের নাম ছিল পঙ্কজকুমার দে।