এরপরেই বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে চর্চা শুরু হয়। যদিও এবার যাবতীয় জল্পনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘বাবার শরীর খুব খারাপ। অসুস্থতা আরও বাড়ছে। পুরনো লোকজনদের চিনতে পারছেন। তবে তাঁর শরীরের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে তিনি কতটা অসুস্থ। হাঁটতে অসুবিধা হয়।’
অর্জুন দাবি করেছেন তাঁকে মুকুল রায় ‘বিজয়ী ভব’ বলেছিলেন। এই প্রসঙ্গে শুভ্রাংশু হেসে বলেন, ‘আমি আমার বাবার হিন্দি জানি। তাই এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হয়ে নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল এই বর্ষীয়ান রাজনীতিককে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর মুকুল রায় গেরুয়া শিবির ছেড়ে ফের প্রত্যাবর্তন করেন তৃণমূলে। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন ছেলে শুভ্রাংশুও। কিন্তু, এরপর অবশ্য খুব একটা ‘ফর্মে’ দেখা যায়নি রাজনীতিক মুকুল রায়কে। তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে জানান তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু। এদিকে গত বছর মুকুলের দিল্লি যাওয়া নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। যদিও সেই সময় শুভ্রাংশু দাবি করেছিলেন তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই।
এবার নতুন করে রায়বাড়িতে অর্জুন সিংকে দেখা যাওয়ায় শুভ্রাংশুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। যদিও সেই যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে শুভ্রাংশু বলেন, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেস করি। বাবাও তৃণমূল কংগ্রেস করে। তড়িৎবাবুর বাড়িতে অর্জুন সিং গিয়েছিলেন। তার মানে কি তিনি এখন বিজেপি করছেন! তাহলে আমার ক্ষেত্রে এই প্রশ্ন কেন উঠছে?’
অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে এদিন তাঁর একবারই দেখা হয়েছিল বলে জানান শুভ্রাংশু ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘অর্জুন সিং যখন নামছিলেন তখন দেখা হয়। বলল কেমন আছ, আর ছেলে মেয়ে কেমন আছে। এর বাইরে কোনও কথা হয়নি।’