রামকৃষ্ণ মিশন সূত্রে খবর, স্বামী গৌতমানন্দজি ১৯৫১ সালে রামকৃষ্ণ আন্দোলনে যোগদান করেন এবং স্বামী রঙ্গনাথানন্দজির অধীনে তার প্রাথমিক আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণ লাভ করেন এবং ১৯৬৬ সালে আদেশের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বীরেশ্বরানন্দজি কর্তৃক সন্ন্যাসী হিসেবে নিযুক্ত হন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ প্রয়াত হয়েছিলেন। জানা যায়, রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ৮টা ১৪ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।
রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ষোড়শ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী স্মরণানন্দ মহারাজ। এর আগে স্বামী আত্মস্থানন্দের জীবনাবসানের পরে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই অধ্যক্ষ হিসাবে তাঁর হাতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়। গত ২৯ জানুয়ারি মূত্রনালিতে সংক্রমণের কারণে তাঁকে রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো হয়েছিল। এরপর থেকেই দীর্ঘদিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর গত ২৬ মার্চ তাঁর মহা প্রয়াণ ঘটে। তাঁর প্রয়াণের পর রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের দায়িত্ব সামলানোর জন্য আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ নির্বাচন করা হল মিশনের তরফে। অছি পরিষদ আপাতত তাঁকে অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত করল। যতদিন না পর্যন্ত স্থায়ী অধ্যক্ষ নির্বাচিত করা হচ্ছে, ততদিন তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ দায়িত্ব সামলাতে হবে।