সজল আরও বলেন, ‘আবেদন করব সায়ন্তিকাদেবীর কাছে, আপনি আমার বোনের মতো হবেন, আমি আবেদন করব, লড়াইটা রাজনৈতিক হবে। মানুষ উপভোগ করবে। রাজনৈতিক তরজা হবে, রাজনৈতিক বিতর্ক হবে, কিন্তু সেই লড়াই যেন রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ থাকে, সেই লড়াই রাজনীতির সীমানা পেরিয়ে যেন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পরিণত না হয় সেদিকে নজর রাখবেন।’
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই তৃণমূলে যোগ দেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে প্রার্থীও করে ঘাসফুল শিবির। কড়া চক্কর দিয়েও মাত্র ১,৪৬৮ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী নীলাদ্রি শেখর দানার কাছে হেরে যান সায়ন্তিকা। তবে হারলেও সায়ন্তিকা সাফ জানিয়েছিলেন, বাঁকুড়ার মাটি তিনি ছাড়ছেন না তিনি। পরবর্তীতে দেখা যায় কথা রেখেছেন সায়ন্তিকা। মাঝেমধ্যেই বাঁকুড়ায় দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যায় তাঁকে। নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রাখতে দেখা যায় বাঁকুড়ার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে।
এরই মাঝে গত ১০ মার্চ ব্রিগেড ময়দানে জনগর্জন সভা থেকে রাজ্যের ৪২ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল। কিন্তু সেই তালিকায় নাম ছিল না সায়ন্তিকার। তার ঠিক পরেই তৃণমূলের সঙ্গে সায়ন্তিকার দূরত্বের জল্পনা তৈরি হয়। যদিও সায়ন্তিকা নিজে অবশ্য সেই সমস্ত জল্পান উড়িয়ে দিয়েছিলেন, এবং তিনি যে তৃণমূলের সঙ্গেই আছেন, তাও জানিয়েছিলেন। আর এবার দেখা বরানগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তাঁর ওপরেই ভরসা রাখল তৃণমূল। এখন দেখার লড়াই কতোটা জমে ওঠে বরানগরে।