২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কোচবিহার জেলায় দায়িত্বে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কোচবিহার জেলায় শীতলকুচি কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। তারপরেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। বর্তমানে অফিসার অন কম্পালসারি ওয়েটিং হিসাবে ছিলেন দেবাশিস ধর। গত ২১ মার্চ থেকে তিনি নিজের কর্মপদ থেকে অব্যাহতি নেন।
শীতলকুচি কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডির আতশ কাচের তলায় ছিল এই অফিসার। এই অফিসারের সম্পত্তিগত বিষয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। দেবাশিস ধরের সম্পত্তির বিভিন্ন নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই জানা যায়, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে কয়েকশো গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ওই অফিসারের। এই তদন্তের স্বার্থেই সিআইডি তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায়। তাঁর সঙ্গে
ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর একটি যোগসূত্র পাওয়া যায়। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন। যেখানে বীরভূম জেলার তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বর্তমানে তিহার জেলে রয়েছেন। গোরু পাচার কাণ্ডে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও, বরাবরই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে দল। স্বাভাবিকভাবেই, এই কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। অন্যদিকে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের শ্যেন দৃষ্টি রয়েছে এই কেন্দ্রের দিকে।
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে গত তিনবার টানা জয়ী হয়েছেন শতাব্দী রায়। অভিনয় জগৎ থেকে তুলে এনে এই কেন্দ্রে দাঁড় করান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর টানা তিনবার এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে হতাশ করেননি শতাব্দী। বর্তমানে অভিনয় জগৎ অনেকটা দূরে সরে দিয়ে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ময়দানে সারা বছর পড়ে থাকেন শতাব্দী। তাঁকেই এবার প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে কেমন লড়াই দেবেন এই প্রাক্তন আইপিএস? বলবে, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল।