রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর, প্রায় ৯ কেজির গাঁজা উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। যা আন্তর্জাতিক চোরাই বাজারে প্রায় ৯০ লাখ টাকার আশপাশে। রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, সে ভারতীয় রেলের গ্রুপ-ডি স্টাফ, নৈহাটিতে কর্মরত। অভিযোগ, ট্রেনে করে পার্সল আসার পর, রাজু সেগুলি আবার স্কুটিতে করে নির্দিষ্ট এজেন্টদের হাতে তা তুলে দিত।
নদিয়া জেলায় পার্সেলের মাধ্যমে মাদক পাচারের বিষয়টি নতুন নয়। কয়েক বছর আগেই নদিয়ার পলাশি পোস্ট অফিসে একটি রহস্যজনক পার্সেল আসে। মণিপুরের সেনাপতি জেলা থেকে ডাক-মাধ্যমে নদিয়ায় পাঠানো হয়েছিল। নামে ওই পার্সেল, তাঁকে পোস্ট অফিসে তলব করা হয়। সেই সময় কাছেই ওঁত পেতে ছিল এসটিএফ। তবে যাঁর নামে ওই পার্সেল, তিনি নিজে না এসে আব্বাস মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে পাঠান ডাকঘরে। আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। এসটিফ সূত্রে জানা যায়, নদিয়ার পলাশি, বড় নলদাহ, ছোট নলদাহ, চাঁদঘর এবং বাউর এলাকায় মাদক চোরাচালানকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে এরকম একাধিক চক্র। নিত্য নতুন কায়দায় চলছে মাদক পাচার।
মাদক পাচার চক্রের রমরমা দেখা গিয়েছে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে। অন্তঃরাজ্য পাচার চক্র রুখতে তৎপর পুলিশও। তার মাঝেই বিভিন্ন কৌশলে মাদক পাচারের উদাহরণ উঠে এসেছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। কিছুদিন আগেই হাওড়া স্টেশন থেকে দুজনকে হাতেনাতে ধরে গ্রেফতার করা হয়েছিল।