খড়্গপুর জিআরপির পুলিশ সুপার দেবশ্রী সান্যাল বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা এই চক্রটিকে ট্র্যাক করতে থাকি। তদন্তে নেমে প্রতারিত এক চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়। তারপর একজনকে গ্রেপ্তার করি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও দু’জনের সন্ধান মেলে।’
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে ভুয়ো ইন্টারভিউ বোর্ড বসাতেন অভিযুক্তরা। এরপর মেডিক্যাল টেস্টের পরে ধাপে ধাপে প্রার্থীদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতানো হতো বলে অভিযোগ। শুধু এ রাজ্যে নয়, ওডিশাতেও এই চক্রের দালালরা থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের।
রেলের অফিসে বসে এক রেলকর্মী এমন চক্র চালানোয় সহজেই বিশ্বাস করেছেন শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা। লোভনীয় বেতনের চাকরির টোপ দিয়ে তাঁদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলা হতো বলে অভিযোগ। চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো ইন্টারভিউ বোর্ড গঠন করে, ভুয়ো মেডিক্যাল টেস্ট করে চাকরি প্রার্থীদের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করতেন এই চক্রের পান্ডারা।
ধৃতদের কাছ থেকে অজস্র বায়োডেটা, চাকরির আবেদনপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। যারা এমন চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়েছেন তাঁদের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার আবেদন জানিয়েছেন এসআরপি খড়্গপুর দেবশ্রী সান্যাল।