এর মধ্যে আট এপ্রিল পড়েছে সোমবার। এই শিডিউল নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের কথায়, নির্বাচনে এখনও দুই মাস বাকি রয়েছে। সেক্ষেত্রে কেন এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রশিক্ষণের দিনক্ষণ? পাশাপাশি স্কুলের পরীক্ষার বিষয়টিও এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হচ্ছে। স্কুলে পরীক্ষা নাকি প্রশিক্ষণ , তা নিয়ে দোলাচলে বহু শিক্ষক।
শিক্ষকদের একাংশের কথায়, ‘ অনেক আগে ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কিন্তু, ছুটির দিনে ট্রেনিং ফেলা হয়েছে। আর এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শিক্ষক মহলের একাংশ।’ এই প্রশিক্ষণের সময়সূচি বদলের দাবি করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা নয়, আরও বেশ কয়েকটি জেলায় প্রশিক্ষণের দিন হিসেবে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহটিকে ধার্য করা হয়েছে। ফলে সেখানকার শিক্ষকরাও একইভাবে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সদস্যরা এই প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন। এই প্রশিক্ষণের দিনক্ষণ বদল করার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে তাঁদের পক্ষ থেকে। যদিও জেলা প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের কথায়, এই নির্বাচনী প্রশিক্ষণের দিনক্ষণ নিয়ে কমিশন অবগত। কমিশনের অনুমতি নিয়েই এই সময় ধার্য করা হয়েছে।
যদিও শিক্ষকদের একাংশের কথায়, এখনও ভোটে বহু সময় বাকি। অনেক আগে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষা এবং ছুটির দিনগুলির বিষয় মাথায় রাখার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছি।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন সাত দফায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাংলায়। ১৯ এপ্রিল শুরু হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দিনে তিনটি কেন্দ্র-কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে নির্বাচন।
১ জুন শেষ দফায় নির্বাচন। এই দিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর, জয়নগর, যাদবপুর, বারাসত, বসিরহাট, দমদমে। ইতিমধ্যেই ভোট প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। কিছু জেলায় পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।