এ দিন বালিগঞ্জ পার্কের একটি ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল ইফতারের আসর। হাজির ছিলেন রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ তথা কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়, বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলার কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের অনেক নেত্রী। লোকসভা হোক বা বিধানসভা, বা অন্য কোনও নির্বাচন— তৃণমূলে বরাবরই মহিলা প্রার্থীদের সংখ্যা বেশি।
এ দিন ইফতার শুরুর আগে সে কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রিয়দর্শিনী। ইফতার পার্টিতে আসা কয়েকশো মহিলাদের সামনে তিনি ব্যখ্যা করেন, মহিলাদের জন্য এই রাজ্য দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সুরক্ষিত। মহিলাদের জন্য এত বেশি প্রকল্প আর কোনও রাজ্যে নেই।
তাঁর বক্তব্যকে হাততালি দিয়ে সমর্থন করেন চন্দ্রিমা, মালা, কৃষ্ণা, নয়নারাও। প্রিয়দর্শিনীর উদ্যোগের প্রশংসাও করেন। কলকাতা-সহ সারা রাজ্যে মহিলা পরিচালিত পুজোর মতোই এই উদ্যোগও সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য বলেই জানান ইফতারের অতিথিরা। এই সময়েই প্রিয়দর্শিনীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনার কথা।
তিনি বলেন, ‘আমি সেই পাঁচ বছর বয়স থেকে রাজনীতির আবহে রয়েছি। আমার সৌভাগ্য যে, সেই বয়স থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য পেয়েছি। ফলে তিনি যদি আমাকে রাস্তায় হাঁটতে বলেন, হাঁটব। যদি ঘোড়ায় চড়তে বলেন, চড়ব। কামান চালাতে বললে তাই চালাব। ফলে আমি যে এই দলের একটা অংশ, এটাই আমার কাছে অনেক।’