Minakshi Mukherjee,মেয়েকে পাই না, তবে মেয়ে আমাদেরও নেত্রী – left front leader minakshi mukherjee father reaction about her daughter


ভোট প্রচারে চরকিপাক খাচ্ছে মেয়ে। সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সভানেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ই এবার দলের স্টার ক্যাম্পেনার। গত ২৭ ও ২৮ মার্চ নিজের এলাকা কুলটি, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়ায় সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খানের সঙ্গে প্রচার করেছেন। বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটানোর জো কই তাঁর। যদিও সেই আক্ষেপ কাটিয়ে বাবা সাগর মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, মেয়ে দলেরও নেত্রী আমাদেরও নেত্রী। প্রচারের সময়ে ওর কথামতোই কাজ করছি।মাস দুয়েক আগে ব্রিগেডের জনসভায় মীনাক্ষীই ছিলেন দলের মুখ। তাঁর কথা শুনতেই ব্রিগেড ভরিয়েছিলেন কয়েক লক্ষ মানুষ। বহু দিন পরে সহজ করে মেঠো ভাষায় দলের কেউ বক্তব্য রাখছেন দেখে সেদিন খুশি গোপন করেনননি তাঁরা। তার পর থেকেই ভোট প্রচারে মীনাক্ষীর গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে অনেকটা।

দলে মেয়ের উত্থানে খুশি মীনাক্ষীর বাবা সাগর বা মা পারুল মণ্ডলও। শুধু মেয়েকেই কাছে পান না তাঁরা। যদিও তাঁরা জানাচ্ছেন, একান্তে দুটো কথা বলতে না পারলেও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দলীয় কর্মী হিসেবে তাঁরা মেয়ের নির্দেশই পালন করেন। গত ২৭ মার্চ আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খানকে নিয়ে দিনভর কুলটিতে তিনটি বড় মিছিল ও দু’টি পথসভা করেছেন মীনাক্ষী। এর মধ্যে দু’টি পদযাত্রায় মেয়ের নির্দেশে অন্য কর্মীদের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন সাগর, পারুলও। এমনকী নিয়ামতপুরে মজদুরদের একটি সভাতেও উপস্থিত থাকতে হয়েছিল সাগরকে। মেয়ের নির্দেশেই। সাগরের কথায়, ‘ঘরে আমি বাবা হতে পারি কিন্তু, বাইরে দলের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

সাগর জানান, অনেকেই এসে মেয়ের ভাষণের কথা জানান। বলেন, ‘আমার মেয়ে খুব ভালো বক্তব্য রাখছে। উত্তরে আমি বলি, ও ভালো বলছে কিনা, সঠিক কথাগুলো বলছে কিনা, সেটা আপনারা বিচার করে দেখুন। যদি সেটা মনে হয় সঠিক, তাহলে সেইমতো কাজ করা উচিত।’ সাগর জানান, আগে মাঝে মধ্যে বাড়িতে মেয়েকে কাছে পেতেন। এখন নির্বাচন ঘোষণা হতেই মেয়ে অত্যন্ত ব্যস্ত। যেমন বৃহস্পতিবার রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়ায় সিপিএম প্রার্থীকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে পদযাত্রা, প্রচারের পর রাত ১১টা নাগাদ বাড়ির কাছে চলবলপুর পার্টি অফিসে এসেছিলেন মীনাক্ষী। তাঁকে পৌঁছে দিয়ে যান দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস রায়চৌধুরী। সাগর বলেন, ‘সেখান থেকে রাতে আমরা বাড়ি ফিরি। শুক্রবার সকালে জেলা হাসপাতালে ভর্তি ওর পরিচিত এক জনকে দেখতে যায়। তার পর থেকে ফের সেই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে রয়েছে মেয়ে।’ বলেন, ‘অল্প সময়ের জন্য ওকে পেলেও ওর কানে সবসময়েই টকব্যাক থাকে। বলি, ওটা একটু কান থেকে সরা। কিছু কথা বলি। ওর মা আর আমি আজকেও ওকে বলেছি, এখন গরম পড়েছে। একটু বেশি করে জল খাবি। আর সঙ্গে বিস্কুট রাখিস। যেখানে যা পাবি, খেয়ে নিবি।’ তবে সময় পেলে মীনাক্ষী বাড়িতে রান্নাও করেন বলে জানান পারুল। তবে বাড়ি বা বাবা-মা নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চান না মীনাক্ষী। তাঁর একটাই কথা, ‘বুথ পর্যন্ত আমাদের পৌঁছতে হবে। মানুষের হয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যেতে হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *