এদিকে শাহজাহানকে সংশোধনাগারে গিয়ে তারা জেরা করতে চায়, এই আবেদন নিয়ে বসিরহাট আদালতের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির আবেদনে অনুমতি দেয় আদালত। সেই অনুমতি সাপেক্ষে বসিরহাট সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি। সূত্রের খবর, কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও অসহযোগিতা করছিলেন শেখ শাহজাহান। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যাচ্ছে, সোমবার শাহজাহানকে আদালতে পেশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, এই নিয়ে গত ১ মাসে এই মামলার তদন্তে বেশকিছু পরিবর্তন এল। ২৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন শাহজাহান। তারপর আদালতের নির্দেশে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই । এবার ইডির হাতেও গ্রেফতার হতে হল সন্দেশখালির এই নেতাকে। গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার পর এদিনই প্রথমবার ইডি আধিকারিকদের মুখোমুখি হলেন শাহজাহান।
এদিকে ইডির ওপর হামলা ও শেখ শাহজাহান ফেরার হয়ে যাওয়ায় কিছুদিন পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা সন্দেশখালি। শাহজাহান ও তাঁর সাঙ্গাপাঙ্গদের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখল, সেখানে নোনা জল ঢুকিয়ে ভেরি তৈরি, কাজ করিয়ে টাকা না দেওয়া, নির্যাতন সহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তোলেন এলাকার মানুষজন। তার মধ্যে মহিলাদের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। যদিও শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে সন্দেশখালির পরিস্থিতি।