Suvendu Adhikari,’রাজ্যে বিজেপির সরকার হলে ৪৫০ টাকায় গ্যাস’, শুভেন্দুর মুখে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি – suvendu adhikari has given many promises at howrah uluberia rally


ফের একবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তৃণমূল কংগ্রেস তথা রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুর্নীতি তোলাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে আক্রমণ করলেন তৃণমূলকে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বলে যাওয়া কথা ফের একবার মনেও করিয়ে দিতে দেখা গেল বিরোধী দলনেতাকে। পাশাপাশি বেশকিছু প্রতিশ্রুতিও দিতে শোনা যায় শুভেন্দুকে।শনিবার উলুবেড়িয়ার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমরা বিজেপি কথা দিচ্ছি যেদিন রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার হবে, পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফিরিয়ে আনব, এসএসসি পরীক্ষা প্রতিবছর হবে ওএমআর অনুযায়ী, লক্ষ্মীরভাণ্ডারের নাম বদলাবো, অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার করব, ৩ হাজার টাকা করে দেব। রাজস্থানের মতো ৪৫০ টাকায় গ্যাস দেব।’

শুভেন্দু আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনে আমাদের যশস্বী নেতা নরেন্দ্র মোদী আরামবাগের সভায় বলে গিয়েছিলেন আপনারা এত সিট জিতিয়ে দেন বিজেপিকে যাতে বিধানসভা নির্বাচনে আর কোনও লড়ই না হয়। লোকসভাতেই বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল হয়ে যায়, মানষ বুঝে যায় এই সরকার আর না, এই তৃণমূল আর না।’

এদিন সিএএ ইস্যুও উত্থাপন করেন শুভেন্দু অধিকারী। অভিযোগ করে বলেন, ‘এই সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য কিছু করেনি। খালি বিভাজনের রাজনীতি করে, খালি ভয় দেখায়। তবে একটা ভয় আর দেখাতে পারবে না, সেটা কী? সেটা হল সিএএ মানে নাগরিকত্ব যাবে। ৩ সপ্তাহ হয়ে গিয়েছে তো সিএএ, কার কার নাগরিকত্ব গিয়েছে? কোন সংখ্যালঘুর নাগরিকত্ব গিয়েছে? যায়নি। যেটা অমিত শাহ বলেছেন সিএএ আইন নাগরিকত্ব কাড়ার নয়। ৩ কোটি বাঙালি উদ্বাস্তু যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এক কাপড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন, যার মধ্যে আমার মাও আছেন, বড়িশাল থেকে পালিয়ে এসেছেন। আজকে এই ৩ কোটি মানুষকে নাগরিকের মর্যাদা দিয়েছেন। এর সঙ্গে নাগরিকত্ব কাড়ার কিছু নেই।’

একইসঙ্গে আনিস খানের প্রসঙ্গও এদিন উঠে আসে শুভেন্দুর বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘আনিস খানের সঙ্গে আমার কোনও পরিচয় নেই, কোনও ভাব ভালোবাসা বিরোধও নেই।’ কিন্তু তাঁকে ৩ তলার ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে কার্যত খুন করান হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি আরও বলেন, ‘নওশাদ সিদ্দিকির টুপিটা আমরা টানিনি, কেন্দ্রীয় পুলিশ টানেনি, এই রাজ্যের পুলিশি তাঁকে জেলে বন্দি করে রেখেছিল। আর ক’দিন আগে যে বাড়িটা গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়ল সেখান চাপা প়ডেছে ১২ জন গরীব সংখ্যালঘু। তাই এবারও যদি ঝাঁক বেঁধে গিয়ে জোড়াফুলে ভোটটা দেন, তাহলে এত বড় ভুল আর হবে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *