পাশাপাশি পাওয়ার হাউসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে উদাসিনতার অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এই প্রসঙ্গে, স্থানীয় বাসিন্দা পলি পাল জানান, হঠাৎ করে এই দিন সন্ধ্যায় পাওয়ার হাউজের পিছনের দিকের স্টোররুমে আগুন ধরে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সময় মতো দমকল বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়নি বলেই দাবি তাঁর।
বেশ কিছুক্ষণ পর খবর পেয়ে একটি দমকল বাহিনীর ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও মাঝপথে জল ফুরিয়ে যায় বলে দাবি এলাকাবাসীর। এরপর দ্বিতীয় ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর মধ্যে আগুনের তীব্রতা আরও বাড়ে বলে জানা যায়। এছাড়াও পাওয়ার হাউসে আগুন লেগে যাওয়ার ফলে গোটা এলাকাতে শোরগোল পড়ে যায়।
পাওয়ার হাউসে অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পাওয়ার হাউজের কর্মী দীনেশ ঠাকুর বলেন, ‘সন্ধ্যেবেলায় আগুন লাগার ঘটনাটি এলাকাবাসীর মারফত জানতে পারি। সেই সময় আমি আশেপাশে ছিলাম না। খবর পেয়ে ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। আমার কাছে দমকল বাহিনীর নম্বর না থাকার কারণে সেই মুহূর্তে আমি খবর দিতে পারিনি। কিন্তু, সম্পূর্ণ ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’
পাওয়ার হাউজের পিছনের দিকে মূল্যবান ট্রান্সফরমার সহ বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহৃত বহু মূল্যের প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র রয়েছে বলেও জানান দীনেশবাবু। দমকল বাহিনীর প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিস্তারিত অনুসন্ধানের করার পর কারণ বলা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন দমকল দফতরের আধিকারিকরা।